আজকের যায়যায়দিন

ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্ক সঠিক পথেই আছে। ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আবদুলস্নাহিয়ান এ মন্তব্য করেছেন। বৃহস্পতিবার সৌদি আরবে গিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, ডিডাবিস্নউ নিউজ, প্রেস টিভি

রিয়াদ সফরে গিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুলস্নাহিয়ান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে 'গুরুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ' আলোচনা করেছেন। বহু বছরের মধ্যে প্রথম কোনো ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আবদুলস্নাহিয়ান বৃহস্পতিবার সৌদি আরব সফরে যান।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, "তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা 'সঠিক পথে এগোচ্ছে'। কিছুদিনের মধ্যেই আমরা প্রগতি দেখতে পাব।" দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

আমির-আবদুলস্নাহিয়ান মূলত সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গত জুন মাসের তেহরান সফরের ফিরতি সফরে রিয়াদে গেছেন। গত মার্চ মাসে দুই দেশ চীনের মধ্যস্থতায় নিজেদের সম্পর্ক মেরামতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এসব সফর বিনিময় হলো। এরই মধ্যে পরস্পরের দেশে সাত বছর পর দূতাবাস খুলেছে ইরান ও সৌদি আরব। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় রিয়াদে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত আলি রেজা এনায়েতি আমির-আবদুলস্নাহিয়ানের সঙ্গে ছিলেন।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন / দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়াল আমেরিকায় বিক্ষোভ

বৃহস্পতিবার রিয়াদে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, 'কূটনীতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আজ আমাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্কের ইতিহাসের পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এ সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুসলিম বিশ্ব ও পশ্চিম এশিয়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ ইরান ও সৌদি আরব সকল ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর। আমির-আবদুলস্নাহিয়ান বলেন, ইরান মনে করে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোই তাদের অঞ্চলের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম এবং তেহরান এ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক দেশগুলোকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

প্রখ্যাত সৌদি শিয়া আলেম শেখ নিমর বাকির আল-নিমরের ফাঁসি কার্যকর করার প্রতিবাদে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে তেহরানে ব্যাপক সৌদি বিরোধী বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীদের একটি দল তেহরানস্থ সৌদি দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দিলে রিয়াদ তেহরানের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। এরপর দীর্ঘ বিরতির পর গত মার্চ মাসে চীনের মধ্যস্থতায় নিজেদের মধ্যে কূটনীতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয় ইরান ও সৌদি আরব।