রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারে লড়াইয়ে বাস্তুচু্যত ২০ লাখ মানুষ : জাতিসংঘ

যাযাদি ডেস্ক
  ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

মিয়ানমারে বাড়তে থাকা লড়াই-সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। মিয়ানমার জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে জাতিগত বিদ্রোহী দলগুলোর জোটের হামলার জেরে দুই পক্ষের লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে বাস্তুচু্যত মানুষের সংখ্যা জাতিসংঘের হিসাব মতে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স

শান রাজ্যে সেনা এবং পুলিশকে চীন সীমান্ত বরাবর বৃহত্তর এলাকা থেকে হটিয়ে দিতে তিনটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর জোটের হামলায় অভাবনীয় সাফল্য মিয়ানমারের আশপাশের অন্যান্য বিরোধী বাহিনীকে উৎসাহিত করেছে। শান রাজ্যের দক্ষিণে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্তবর্তী কায়াহ রাজ্যে জাতিগত কারেন বিদ্রোহীরা, যারা এরই মধ্যে রাষ্ট্রের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, তারা প্রধান শহর লোইকাও আক্রমণ করছে এবং এরই মধ্যে শহরের উপকণ্ঠে বিশ্ববিদ্যালয় দখল করেছে।

স্বেচ্ছাসেবী 'পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস' (পিডিএফএস) শান রাজ্যে সামরিক বাহিনীর পরাজয়ের সুযোগ নিতে তাদের নিজস্ব হামলা শুরু করেছে এবং এভাবে তারা শাসন ক্ষমতায় থাকা সামরিক জান্তার ওপর চাপ জিইয়ে রেখেছে। যদিও জাতিগত সশস্ত্র বাহিনীগুলোর তুলনায় পিডিএফএস কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং অস্ত্রশস্ত্রও তেমন নেই। তবে তাদের সক্ষমতা বাড়ছে। বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জাতিগত সেনাদের সঙ্গে তারা সবসময় মিত্রতা রক্ষা করে। এই সেনারা কয়েক দশক ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে লড়ে আসছে।

জান্তা সরকার ভারতের সঙ্গে সীমান্তের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণও হারিয়েছে। জাতিগত 'চীন' বিদ্রোহীরা তাদের নিজ রাজ্যে আধিপত্য করছে এবং সম্প্রতি রিখাওদার সীমান্ত শহর দখল করেছে। আরও দক্ষিণে আরাকান আর্মি তাদের যুদ্ধবিরতি শেষ করে সেনা ও পুলিশ ফাঁড়িগুলোতে আক্রমণ শুরু করেছে।

ওদিকে, মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরেক জাতিগত বাহিনী 'কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন'ও থাই সীমান্তে সেনা ফাঁড়ির ওপর হামলা জোরদার করছে। সর্বদক্ষিণের রাজ্য তানিনথারিতেও সেনাদের ওপর এখন নিয়মিত বিদ্রোহী হামলা হচ্ছে।

এদিকে, মিয়ানমারের জান্তা শাসকরা দেশটির সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জরুরি পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিয়েছে। দেশটির বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্রোহী বাহিনীর 'তীব্র হামলার' মুখে পড়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার জান্তা সরকার থেকে এমন নির্দেশ আসে বলে জানান দেশটির একজন সরকারি কর্মকর্তা। দশকের পর দশক ধরে বিভিন্ন আদিবাসী সংখ্যালঘু বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং বিদ্রোহী গেরিলাদের সঙ্গে লড়াই করে আসছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। কিন্তু ২০২১ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী আবার দেশটির ক্ষমতা দখলের পর জান্তা-বিরোধী অভূতপূর্ব এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে