রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
ডবিস্নউএইচও প্রধানের ক্ষোভ

রক্তপাত বন্ধ করতে না পারলে জাতিসংঘ কীসের জন্য

ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন দিয়ে চাপের মুখে ইলন মাস্ক
যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
ডবিস্নউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসাস

গাজা ইসু্যতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিস্নউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসাস। শুক্রবার তিনি সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে গাজার সংকটকে 'জাতিসংঘ ও এর সদস্য দেশগুলোর জন্য অ্যাসিড টেস্ট' বলে উলেস্নখ করেছেন। টেড্রোস বলেছেন, 'এই সংস্থাটি আমাদের বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আপনি যদি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে এই রক্তপাত বন্ধ না করেন বা করতে না পারেন, তাহলে আমাদের অবশ্যই প্রশ্ন করতে হবে, জাতিসংঘ কীসের জন্য?' সংবাদসূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা, পার্স টুডে

গাজা ইসু্যতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আলোচনা, প্রস্তাব, বিবৃতিও যথেষ্ট নয়। আপনাকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এই পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে।'

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ঢুকে হামাস নজিরবিহীন হামলা চালায়। এতে এক হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং ২৪০ জন জিম্মি হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনি এই সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রত্যয় নিয়ে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ১২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করেছে দখলদার ইসরাইল। হামলার পর থেকে জাতিসংঘের মহাসচিব একাধিকার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও এতে পাত্তা না দিয়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইল। বিমান থেকে ফেলা বোমা ও স্থল অভিযানে একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছেন ফিলিস্তিনের মানুষ। এমন অবস্থায় যুদ্ধ বন্ধ করতে না পারায় জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ডবিস্নউএইচ মহাপরিচালক।

ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন দিয়ে

চাপের মুখে ইলন মাস্ক

এদিকে, সামাজিক মাধ্যম এক্স বা সাবেক টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন দিয়ে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছেন। তিনি সম্প্রতি ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বোমাবর্ষণে নারী ও শিশু মৃতু্যর বিষয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে বিশ্বাসযোগ্য খবর পরিবেশন না করার সমালোচনা করেছিলেন। এরপর তিনি পশ্চিমাদের রোষানলে পড়েন।

ইলন মাস্ক বলেছেন, আমেরিকার সমাজে শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে ইহুদিরা বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া, গাজা উপত্যকায় ব্যাপকভাবে শিশু হত্যার সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যার ক্ষোভ ও কষ্ট থেকেই হামাসের জন্ম হয়েছে।

গত ১৫ নভেম্বর প্রথম তিনি কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে ইহুদিদের বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ আনেন। এতে বিরোধী পক্ষে তোলপাড় শুরু হয়। জবাবে আরেকটি পোস্টে ইলন মাস্ক বলেন, 'আমি যে বক্তব্য দিয়েছি, তা প্রকৃতপক্ষেই সত্য। শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদ বা এশীয় বর্ণবাদ অথবা যে কোনো ধরনের বর্ণবাদের বিরুদ্ধেই আমার অবস্থান।'

আমেরিকার 'অ্যান্টি ডিফেমেশন লিগ' বা এডিএল ইলন মাস্কের যে সমালোচনা করেছে, তার কঠোর বিরোধিতা করেছেন তিনি। এডিএল বলেছে, ইলন মাস্ক তার সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ ইহুদিবাদ বিরোধী যে ষড়যন্ত্র ও প্রচারণা চলছে, তা ঠেকানোর জন্য মাস্ক তেমন কিছুই করছেন না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে