শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মানুষের মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে

মানুষের মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা বিধান, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ ও সব সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের ওপর নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের জয়-পরাজয়। সতর্ক না হলে বিপর্যয়। এখানে সংশ্লিষ্টদের কাজ হলো গৃহীত কার্যক্রম ও প্রোগ্রাম দ্রম্নত বাস্তবায়ন। না হলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া কঠিন হবে। কথা কম, কাজ বেশি। প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের প্রয়াস যেন ব্যর্থ না হয়, যথাযথ পালিত হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবার তৎপর থাকতে হবে।
মাহবুব-উল আলম খান
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

আজ থেকে ১০ বছর আগে খালেদা জিয়া ৮ মার্চ, ২০১১ তারিখে বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্য আসলে নারী দিবস উপলক্ষে- না বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিষেদ্গার- বুঝা যাচ্ছিল না। তিনি সরকারকে অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, 'তিনি কাকে শাস্তি দেবেন, কাকে শায়েস্তা করবেন, সম্মানিতদের অসম্মানিত করবেন তাই নিয়ে ব্যস্ত। হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট হাতের মুঠোয়। আওয়ামী লীগের লোক ছাড়া এখান থেকে ন্যায়বিচার, সুবিচার কেউ পায়নি। এ সরকারের সব কর্মকান্ড অবৈধ। কেননা, ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের অবৈধ সরকারের দেওয়া অবৈধ নির্বাচনে তারা ক্ষমতায় এসেছে। তাই এ সরকারও অবৈধ। এ সরকার বিদায় নেওয়ার পর তাদের সব কর্মকান্ড অবৈধ ঘোষণা করা হবে। মহিলাদের ওপর নির্যাতন হলেও সরকার নীরব। প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে বেশি উৎসাহী একটি নোবেল পুরস্কারের জন্য। খালেদা জিয়া উচ্চারণ করেছেন তাকে দুর্ভিক্ষ, নারী নির্যাতন, বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন, দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে এক নম্বর করার জন্য, ঢাকাকে বসবাসের জন্য অনুপযুক্ত করার কারণে নোবেল পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে। তিনি আরো নানাবিধ উদ্ভট কথা বলে আত্মতৃপ্তি লাভ করলেন। দামি প্রসাধনী ও সাজে সজ্জিত হয়ে উৎফুলস্ন চিত্তে তিনি মনের সাধ মিটিয়ে হৃদয়ের উৎসারিত ঝাল মেটালেন। অনুষ্ঠানটি 'সচেতন সমাজই রুখতে পারে নারী নির্যাতন' শীর্ষক মতবিনিময় সভা হলেও আসলে মনে হচ্ছিল খালেদা জিয়ার ক্ষমতা হারানোর হাহাকার ও আর্তনাদ। তার ছেলে, ভাই ও দলীয় লুটেরাদের দুষ্কর্মের ফিরিস্তি যা তিনি বর্তমান সরকারের ওপর চালাচ্ছেন। খালেদা জিয়া অনেক ফুরফুরে মেজাজে আছেন। ২০০১-২০০৬-এর ইতিহাস ভুলে গেছেন মনে হচ্ছে।

মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারের অনেক অর্থসম্পদ তিনি গ্রাস করেছেন। তার ছেলেদের জন্য শিক্ষা চিকিৎসার যাবতীয় খরচ সরকার হতে নিয়েছেন। তারা কি শিক্ষা নিয়েছেন? শিক্ষা নিয়েছেন জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনের, হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন সৃষ্টি করে রাজপুত্র সেজে ধরাকে সরা জ্ঞান করার, জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করে দেশে একটি লুটেরা সরকার কায়েম করার। শাস্তিতো দেয় আইন ও আদলত খালেদা জিয়া কি তা বুঝেন না? হাইকোর্ট সুপ্রীম কোর্ট খালেদা জিয়ারই হাতের মুঠোয় রেখেছিলেন জ্বাল সার্টিফিকেটধারী ও অন্যান্য দলীয় লোকদের বিচারপতি পদে নিয়োগ দিয়ে। আওয়ামী লীগের লোকদের ওপর জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া ১৯৭৫-১৯৯৬ ও ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত যে পরিমাণ অত্যাচার, অবিচার, হত্যা, সন্ত্রাস করা হয়েছে তা খালেদা জিয়া কি একবার চোখ বন্ধ করে চিন্তা করে দেখবেন। তাহলে দেখবেন ষড়যন্ত্রের নীলনকশায় আসল নেপথ্য নায়ক হিসেবে তার স্বামী জিয়াউর রহমান জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করেছেন। শত শত মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। জেলখানায় জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহম্মদ, ক্যাপটেন মনসুর আলী ও কামরুজ্জামান এবং কর্ণেল তাহেরকে হত্যা করেছেন। জাতির জনক ও জেল হত্যার বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছেন। দালাল আইন তুলে রাজাকার, দালাল, যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসিত করেছেন। পাকিস্তানি দালাল গোলাম আজমকে দেশে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছেন। জামায়াত মুসলিম লীগসহ সব স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার সব ব্যবস্থাই নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধবংস করা হয়েছে। ভাগ্য তাকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করার বিরল সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি যাচ্ছিলেন সোয়াত জাহাজ হতে অস্ত্র খালাসের জন্য, বাঙালি নিধনের জন্য। পথে মেজর রফিক, অলি আহম্মদ, শওকত আলী ও আওয়ামী নেতারা তাকে পথ রোধ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করেন। নেতারা বলেছিলেন, আমরা সবাই মাইনর আপনি মেজর, তাই আপনিই পড়ুন। সেনা সদস্যদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি করে এটাই ধারণা ছিল।

খালেদা জিয়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেছেন, তাকে দুর্ভিক্ষ, নারী নির্যাতন, বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার, দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে এক নম্বর করার জন্য ইত্যাদি নানাবিধ কারণে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার বিবেচনার জন্য সুপারিশ করেছেন। ২০০১-২০০৬-এর কর্মকান্ড তিনি এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন কী করে? উপরোক্ত কাজগুলো তিনি, তার সরকার তার সন্তানদ্বয় ও দলের লুটেরা এ দেশের মানুষের ওপর চালিয়েছেন অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে। এসব নানাবিধ বদনামির জন্য বিশ্বের মানুষ যদি কোনো খেতাব দিতে যান তা খালেদা জিয়া বিনা প্রতিযোগিতায় পেয়ে যাবেন। তার আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। শাবাশ শাবাশ শাবাশ। নিজের কৃত অপরাধগুলো কি অনর্গল মিথ্যা বক্তৃতা দিয়ে অন্যের ওপর চাপিয়ে দিলেন। পক্ষান্তরে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি করে শেখ হাসিনা ও সন্তুলারমা এক ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি করেছেন। এজন্য আগামী দিনের ইতিহাসে তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখা হয়ে থাকবে। নোবেল পদক কর্তৃপক্ষ আশা করি, এই মহতী শান্তিচুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় আনবেন। বর্তমান সরকারের প্রচার, প্রপাগান্ডা ও লবিং খুবই দুর্বল। কৃত সাফল্যের যথাযথ প্রচারণা নেই। প্রশাসন স্থবির। ঘুণেধরা প্রশাসন ও দীর্ঘ ৩০ বছর জিয়া-এরশাদ-খালেদা-নিজামীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রায় সর্বক্ষেত্রই কলুষিত হয়েছে। এরা এখন নীরবে কাজ করে যাচ্ছে। সব কাজই বিলম্বিত হচ্ছে। যথা সময়ে সম্পন্ন হচ্ছে না। খালেদা জিয়া নিজেই বলেছেন, তিনি সব খবর রাখেন অর্থাৎ তার লোকরা নীরবে স্যাবটেজ করে যাচ্ছে। সরকারের এ ব্যাপারে কতটুকু সতর্কতা ও জানা আছে বুঝা মুশকিল। প্রশাসনকে গতিশীল করতে হবে। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বলিষ্ঠ ভূমিকা নিতে হবে। ঘাপটি মেরে থাকা খালেদা- নিজামীর এজেন্টদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। সর্বোপরি মন্ত্রিসভার কিছু পরিবর্তন একান্ত অপরিহার্য। অভিজ্ঞ ও দক্ষ রাজনীতিবিদদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তকরণ এখন সময়ের দাবি। মানুষের মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। যে কোনো মূল্যে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ যথাযথ পালিত হচ্ছে বলে মনে হয় না। সব কর্মকান্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কমিটেড ও দক্ষ আমলা ছাড়া দিন বদলের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। সরকারের ভিশন- ২০২১ বাস্তবায়নে মহাজোটকে আগামীতে ক্ষমতায় আসতেই হবে। সামগ্রিক কর্মকান্ড ও নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন না করতে পারলে সে স্বপ্ন কীভাবে পূরণ হবে? পাঁচ বছরের অর্ধেক সময় চলে গেছে। বাকি সময়ে মানুষেয় প্রত্যাশা ও নিজেদের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা সময়ের দাবি। মানুষ সরকারের দিকে চেয়ে আছে। মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার আগে সাবধান হতে হবে। বিরোধীদলীয় নেতা-নেত্রীরা যেভাবে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কর্মকান্ডের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ বাঞ্ছনীয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধে উদ্ভাসিত বর্তমান সরকারকে জনগণ অনেক আশা নিয়ে বিপুল বিজয় দিয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছে। মহাজোটের সব মানুষের এই বিজয়কে ধরে রাখতে হবে মানুষের কল্যাণের জন্য, একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী এবং আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ার জন্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধে উদ্ভাসিত শত শত কর্মকর্তাদের খালেদা-নিজামী সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেই অন্যায়ভাবে চাকরিচু্যত করেছিল। আদালতের রায় পেয়েও তারা পুনর্বাসিত হতে পারেননি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তা আজও হয়নি। অবিলম্বে এদের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। নইলে ঘাপটি মেরে থাকা খালেদা-নিজামী- তারেকের প্রেতাত্মারা আরো সর্বনাশ করেই যাবে। অতএব, সরকারকে এ ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত অপরিহার্য।

মানুষের মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা বিধান, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ ও সব সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের ওপর নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের জয়-পরাজয়। সতর্ক না হলে বিপর্যয়। এখানে সংশ্লিষ্টদের কাজ হলো গৃহীত কার্যক্রম ও প্রোগ্রাম দ্রম্নত বাস্তবায়ন। না হলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া কঠিন হবে। কথা কম, কাজ বেশি। প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের প্রয়াস যেন ব্যর্থ না হয়, যথাযথ পালিত হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবার তৎপর থাকতে হবে।

নানাবিধ সমস্যা এক বিরাট সমস্যা। এই সমস্যা সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল ব্যাপার। আর মাত্র আড়াই বছরে একে সহনীয় পর্যায়ে উলেস্নখযোগ্য উন্নয়ন পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। উলেস্নখযোগ্য সমস্যাবলি সমাধা করে একটি বৈপস্নবিক উন্নয়ন সাধন করতে হবে। সব কর্মকান্ড সুপরিকল্পিতভাবে ও দ্রম্নত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান, বিদু্যৎ, পানি ও গ্যাসের সুষ্ঠু সমাধান হলেই সরকার হবে জনকল্যাণকামী সরকার। রাষ্ট্রযন্ত্রের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও দেশপ্রেম ছাড়া কোনো কাজই সুষ্ঠুভাবে ও দ্রম্নত গতিতে সম্পন্ন হবে না। খালেদা জিয়া বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে বর্তমান সরকারের সব কর্মকান্ড অবৈধ ঘোষণা করবেন। বর্তমান সরকারের সব উন্নয়ন কর্মকান্ড যদি তিনি অবৈধ ঘোষণা করতে চান এ দেশের জনগণই উহার জবাব দেবেন। অতএব, সরকারকে সবিনয় অনুরোধ জানাতে চাই আর বিলম্ব নয় আপনাদের বাগানটাকে সুন্দর করে সাজান। দুর্গন্ধযুক্ত ফুল ঝেড়ে ফেলুন, বাগানে গোলাপ শাপলার সমাহার ঘটান। রাজনীতিতে, প্রশাসনে, পুলিশে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভন্ন ক্ষেত্রে ঘাপটি মেরে থাকা অশুভ চরিত্রগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। গড়ে তুলুন সুশাসন, আইনের শাসন ও আলোকিত প্রশাসন। আমরা কাজ করতে চাই, আগামী এক সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য। এ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য আরো বলিষ্ঠ পদক্ষেপ জরুরি। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এ দেশের মানুষ জাতির জনকের অসমাপ্ত কাজ অবশ্যই বাস্তবায়িত করবে। প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের রক্তের ধারক ও বাহক। ২০০৪-এর ২১ আগস্ট আজকের প্রধানমন্ত্রীকে শেষই করে দিতে চেয়েছিল খালেদা-নিজামীর লেলিয়ে দেওয়া হয়েনারা। আলস্নাহর অশেষ রহমতে নেতারা নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করে নেত্রীকে রক্ষা করেছেন। এ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য হয়তো তিনি আজো বেঁচে আছেন। সব ভুলভ্রান্তি শোধরিয়ে দিন বদলের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। দুঃখী মানুষের মুখে ফুটাতে হবে অনাবিল হাসি। সাধারণ মানুষের আর তো যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এ দেশের মানুষ চায় শেখ হাসিনার সরকার জিতে আসুক বারবার। জিততে হলে নির্বাচনী অঙ্গীকারের দ্রম্নত বাস্তবায়ন ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই। দেশরত্ন শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও দেশপ্রেমই এ সরকারকে জিতাবে বারবার। সরকারের সব শুভ প্রয়াসের জয় হউক। জয়বাংলা।

মাহবুব-উল আলম খান :মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সচিব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে