সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

৭ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার কঠোর পদক্ষেপ নিন

নতুনধারা
  ৩০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বড় ধরনের মাদকের চালান প্রায়ই ধরা পড়ছে- যা আমাদের মধ্যে বিস্ময়ের জন্ম দেয়। এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৭ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। সোমবার রাত ২টার দিকে উপকূলের দক্ষিণ পূর্ব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ইয়াবা পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি নৌকা জব্দ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি মিয়ানমার থেকে নৌকায় করে ইয়াবার একটি চালান বাংলাদেশে আসবে। এই খবরের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ডের একটি বিশেষ দল সেন্টমার্টিন পূর্ব চরে অভিযান পরিচালনার জন্য অবস্থান নেয়। রাতে মিয়ানমারের দিক থেকে একটি নৌকা সেন্টমার্টিন উপকূলে চরের কাছাকাছি পৌঁছালে কোস্ট গার্ড সদস্যরা নৌকাটিকে থামার জন্য সংকেত দেয়। কোস্ট গার্ড সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকায় থাকা দুই পাচারকারী সাগরে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে নৌকাটি তলস্নাশি করে একটি পলিথিনের বস্তায় বিশেষ কায়দায় রাখা ৭ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, মাদকের ভয়াবহ বিস্তার দেশের সবাইকেই উদ্বিগ্ন করেছে। এর বিষাক্ত ছোবল অকালে কেড়ে নিচ্ছে অনেক প্রাণ। অনেক সম্ভাবনাময় তরুণ-তরুণী হচ্ছে বিপথগামী।

বাংলাদেশে ইয়াবা আর ফেনসিডিলের বাজার তৈরি হওয়ায় মিয়ানমার এবং ভারত সীমান্তে অসংখ্য ইয়াবা আর ফেনসিডিলের কারখানা গড়ে উঠছে। এসব কারখানায় বাংলাদেশের যুবসমাজের জন্য মিয়ানমার মরণ নেশা ইয়াবা এবং ভারত থেকে ফেনসিডিল উৎপাদন করে তা নির্বিঘ্নে সরবরাহ করা হচ্ছে। বলতে দ্বিধা নেই যে, এসব দেশে মাদক তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের যুবসমাজের জন্যই। বাংলাদেশ ঘেঁষা সীমান্তে মিয়ানমারে অসংখ্য ইয়াবা কারখানা গড়ে উঠেছে। সেসব কারখানায় কোটি কোটি পিস ইয়াবা তৈরি হচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা কারখানার কথা আমরা জানি, আমাদের সরকারও জানে, কিন্তু ইয়াবা চোরাচালান রোধ হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না এটাই এখন বড় প্রশ্ন?

উলেস্নখ্য, রাজধানীতে মাদকের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়। এর আগে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা করে সরকারের একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা। ওই তালিকা অনুযায়ী অভিযান শুরু করা হয়। এতে অনেকেই গা ঢাকা দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযানের জোরদারের খবর আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

আমরা মনে করি, মাদক ব্যবসার সঙ্গে দেশের অনেক রাঘববোয়াল জড়িত। এদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিতে পারলে আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করা যাবে না। এ ব্যাপারে দ্রম্নত কঠোর উদ্যোগ নেয়া জরুরি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে