সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

নতুনধারা
  ২৮ মে ২০২৩, ০০:০০

করোনার সংক্রমণ সারা বিশ্বকে কতটা বিপর্যস্ত করেছিল, বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়া করোনার প্রভাবে দেশেও ভীতিপ্রদ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রায় প্রত্যেকটি খাতে নেতিবাচক পরিস্থিতিও পরিলক্ষিত হয়েছে, মানুষের জীবনযাপনের স্বাভাবিকতাও বিঘ্নিত হয়েছে। কিন্তু এটাও ঠিক যে, বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতিকে সাফল্যের সঙ্গেই মোকাবিলা করেছে। তারপর করোনা পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসতে শুরু করে, প্রতিটি খাতে আবারও গতি ফিরতে শুরু করে। কিন্তু এটাও ঠিক যে, করোনাভাইরাস বিলুপ্ত হয়নি।

সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, দেশে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। একদিনে ৬৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জনে। এ সময়ে করোনায় কারও মৃতু্য হয়নি। মূলত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৯ জন। এদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ১৫৭ জন।

প্রসঙ্গত আমরা বলতে চাই, যখন জানা যাচ্ছে, দেশে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী- তখন এটিকে সহজ করে দেখার সুযোগ নেই। কেননা, করোনা পরিস্থিতি কতটা দিশাহারা করতে পারে তা অজানা নয়। একইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতি সারা বিশ্বকে কতটা বিপর্যস্ত করে তুলেছিল সেটিও ভুলে যাওয়া যাবে না। সঙ্গত কারণেই স্বাস্থ্য সচেতনতাসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। প্রসঙ্গত এটাও বলা দরকার, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃতু্য হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিনে সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

উলেস্নখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে এই বিষয়টি বারবার আলোচনায় এসেছে যে, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে সচেতনতা ও পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ফলে আবার যখন দেশে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী- তখন এটি আমলে নিয়ে যথাযথ বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্টদের সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। এই বিষয়টিও মনে রাখতে হবে, এর আগে এমন বিষয় বারবার বলা হয়েছে যে, সংক্রমণ কমায় স্বাস্থ্যবিধি পালনে শিথিলতারও কোনো অবকাশ নেই। ফলে এখন যখন করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, তখন সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে উদাসীনতা নয়, বরং স্বাস্থ্যবিধি পালনে সবার আরও সচেতন হওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য হওয়া দরকার সচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

এছাড়া এর আগে চীন থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বাংলাদেশে আসা এক ব্যক্তির ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭ শনাক্ত হয়েছিল। তখন করোনার নতুন ধরন নিয়ে দেশে উদ্বেগ বাড়ছিল। কেননা, বিএফ-৭ নামের এ নতুন উপধরন ওমিক্রনের চেয়েও চার গুণ বেশি সংক্রামক বলেও জানা গিয়েছিল। অন্যদিকে, নানা সময়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ফলে সচেতনতার বিকল্প নেই। করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।

সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, এমনিতেই করোনাভাইরাস বিলুপ্ত হয়নি, আবার যখন জানা যাচ্ছে দেশে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী- তখন এটাকে সহজ করে এড়ানো যাবে না। আত্মতুষ্টিতে না ভুগে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। একইসঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে করণীয় নির্ধারণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। করোনা মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে