হাত-পা সবই বাঁধা...
করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখনো রয়েছে। এর মধ্যে নাটকে কাজ করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। আমরা সেই চ্যালেঞ্জটা মাথায় নিয়েই কাজ করছি। তাছাড়া অবকাঠামোগত সমস্যাও রয়েছে। এইতো ক'দিন আগেই ঢাকার বাইরে গেলাম একটা নাটকের কাজে। সেখানে শুটিং করার জন্য আমাদের একটা নকল হাসপাতাল দরকার ছিল। কিন্তু নেই। আবার করোনার কারণে এখন সত্যিকারের হাসপাতালে গিয়ে শুটিং করার অনুমতিও পাওয়া যায় না। ফলে ওই সিকোয়েন্সটাই বাদ দিতে হয়েছে। এয়ারপোর্টের দৃশ্যগুলোও কেবল যাওয়া-আসা বা পেস্নন ওড়া দেখাতে হয়। শুটিং করার জন্য একটি পার্কও পাই না। এখানে আমাদের হাত-পা সবই বাঁধা।
দ্বিমত করি না...
গল্প পছন্দ হলে কাজ করতে দ্বিমত করি না। 'আজ ১০ই আগস্ট', 'চুপকথা' এবং 'নেগেটিভ ও পজিটিভ' নাটকগুলো তারই প্রমাণ। সে ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মেহেদী হাসান জনির নির্দেশনায় 'পার্টনার' শিরোনামের একটি কাজ শেষ করেছি। এটি রচনা করেছেন আরিফুল ইসলাম পাঠক। এই নাটকে আমার সহশিল্পী হিসেবে আছেন অপূর্ব ভাইয়া, যিনি সব সময়ই ভীষণ সহযোগিতাপরায়ণ। জনি তরুণ নির্মাতা হলেও তিনি বেশ গোছানো ও চমৎকার সব গল্প নিয়ে কাজ করেন। 'পার্টনার' তেমনই একটি নাটক। অপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গে সম্প্রতি আরও কয়েকটি কাজ শেষ করেছি। এর মধ্যে মহিদুল মহিমের 'মধুসিং' ও 'ক্যান্ডিক্রাস' অন্যতম। তাছাড়া শিগগিরই মিজানুর রহমান আরিয়ান, রুবেল হাসান ও ভিকি হায়েদের সঙ্গে কাজের শিডিউল রয়েছে।
অনেক চরিত্র বাকি আছে...
ভালো গল্প ও ব্যতিক্রমী চরিত্রের প্রতি আমার লোভ আছে। চেষ্টা করেছি গতানুগতিক গল্পের বাইরে গিয়ে কাজ করতে। তাই কখনো প্রেমিকা হয়েছি, কখনো ভিখারি হয়েছি, কখনো গার্মেন্ট কর্মী এমনকি পাগলি এবং বয়স্ক নারীর চরিত্রেও অভিনয় করেছি। এরপরও মনে হয় নাটকে এখনও অনেক ধরনের চরিত্র করা বাকি আছে। সেগুলো করতে চাই। অপেক্ষায় আছি সেসব চরিত্র নিয়ে কাজ
করার জন্য।
বলা উচিত হবে না...
সাত-আট বছর ধরে সিনেমাতে অভিনয়ের ডাক পাচ্ছি। আমার মনে হয়, আমি নাটক করছি আর নাটকেই বেশি সময় দেওয়া উচিত। আগেই বলেছি, নাটকে অনেক ধরনের চরিত্র করা বাকি আছে। সেগুলো করতে চাই আগে। ভবিষ্যতে সিনেমা করব কিনা, সেটা এখন বলা উচিত হবে না।