শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাণবন্ত ও নিরাপদ সড়কে রিয়াজ

ম বিনোদন রিপোর্ট
  ৩০ জুন ২০২২, ০০:০০

জনসচেতনতামূলক কাজে বরাবরই সজাগ থাকতে দেখা যায় চিত্রনায়ক রিয়াজকে। সেই ধারাবাহিকতায় আসন্ন কোরবানি ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষদের সচেতনতার লক্ষ্যেও কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন এক সময়ের ব্যস্ত এ চিত্রতারকা। গত দুই ঈদে করোনার মধ্যে কোনো সতর্কতামূলক উপদেশই রাজধানীর নাগরিকদের বাড়ি যাওয়ার ঢল রোধ করতে পারেনি। তবে এবার মহামারি করোনা ভাইরাসের দাপট সিংহভাগই নিয়ন্ত্রণে। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, স্বাভাবিক নিয়মেই এবারে ঈদে অগণিত মানুষ বাড়ি যাবেন এবং ফিরবেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। কিন্তু প্রতিবারই দেখা যায় ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে অনেক দুর্ঘটনার চিত্র। যা ঈদ আনন্দকে বিষাদে রূপ নেয় অনেক পরিবারে। সেটা বিবেচনা করে বাড়ি ফেরা নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে জনস্বার্থে নির্মিত হয়েছে উপদেশমূলক তথ্যচিত্র 'বাড়ি ফেরা'। প্রতিবার ঈদ উৎসবে লঞ্চঘাট, বাস টার্মিনাল কিংবা ট্রেন স্টেশনে থাকে উপচেপড়া মানুষের ভিড়। নিয়ম মেনে ও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই কোনো যানে ভ্রমণ না করার অনুরোধ নিয়ে এই তথ্যচিত্রটি নির্মিত হয়েছে। এই তথ্যচিত্রে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অগণিত হিট সিনেমার এই নায়ক। এতে তার সঙ্গে রয়েছেন 'মিরাক্কেল'খ্যাত পাভেল ও লামিমা।

রম্যলেখক ও অভিনেতা আহসান কবিরের আইডিয়া এবং চিত্রনাট্যে এবং বস্ন্যাক অ্যান্ড হোয়াইট প্রযোজিত এ তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন বিজ্ঞাপন ও নাট্য নির্মাতা খান মোহাম্মদ বদরুদ্দীন। নির্মাতা জানান, আসছে ঈদে বিভিন্ন নৌযান ও টার্মিনাল এবং জনস্বার্থে বিভিন্ন টেলিভিশনে তথ্য চিত্রটি প্রচারিত হবার কথা রয়েছে। তথ্যচিত্রটি সম্পর্কে অভিনেতা রিয়াজ বলেন, 'জনসচেতনতামূলক কাজ করতে বরাবরই অন্যরকম আনন্দ হয়। আশা করছি ঈদ আনন্দে বাড়ি ফেরা মানুষকে নিরাপদে চলাচল করায় সচেতন হতে এই তথ্যচিত্রটি সহায়ক হবে। আমাদের উৎসব হোক প্রাণবন্ত এবং নিরাপদ।'মডেল হিসেবে কাজ করেছেন কাজী হায়াৎ ও শাহনূর। এতে কাজ করা প্রসঙ্গে কাজী হায়াৎ বলেন, 'বিজ্ঞাপনচিত্রটি বেশ ভালো হয়েছে। প্রচারে আসুক, প্রচারে এলেই দর্শকের ভালো লাগবে।' শাহনূর বলেন, 'শ্রদ্ধেয় কাজী হায়াৎ আঙ্কেলের সঙ্গে এর আগে বহু সিনেমায় অভিনয় করেছি। তিনি আমাকে ভীষণ স্নেহ করেন। মূলত তার সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করব- এই সুযোগটিই আমি হাত ছাড়া করতে চাইনি বলে কাজটি করেছি। তাছাড়া হাসপাতাল আমাদের জীবনের জন্য জরুরি একটি বিষয়। আমরা যখন অসুস্থ হই, তখন রোগীকে কোনো হাসপাতালে নিলে ভালো হয়, চমৎকার সেবা পাওয়া যাবে- এসব বিষয়ে দিশেহারা হয়ে যাই। অনেক সময় নানাজনের মতামত নিতে থাকি। যে কারণে শনির আখড়ায় অবস্থিত নতুন হাসপাতালের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছি। হাসপাতালটি ঘুরেও আমার ভালো লেগেছে। একটি আধুনিক হাসপাতাল। কাজী হায়াৎ আঙ্কেলের সঙ্গেও কাজ করে ভীষণ ভালো লেগেছে। তিনি গুণীজন, তার সঙ্গে সময় কাটালেও নিজেকে চলচ্চিত্র সম্পর্কে সমৃদ্ধ করতে পারি। সেই সুযোগটাও হলো।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে