সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেট বোর্ড :ফলাফলে পিছিয়ে থাকলেও বেড়েছে জিপিএ-৫

সিলেট অফিস
  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

দেশের ৯টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ফলাফলে এবার ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে সিলেট বোর্ড। এ বছর পাসের হার কমেছে ১৩.৪০ ভাগ। ফলাফলে পিছিয়ে পড়লেও এ বছর ১৪০টি জিপিএ-৫ বেড়েছে। ছেলেদের চেয়ে এবার মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।

শিক্ষাবোর্ড জানায়, ফলাফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ বন্যা। সঙ্গে মানবিক ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফলাফলে অবনতি ঘটায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মোট পাসের হারে। এ দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবার বেশির ভাগই খারাপ করেছে ইংরেজি বিষয়ে।

ফলাফল অনুযায়ী, সিলেট শিক্ষা বোর্ডে

সবশেষ পাঁচ বছর ধরে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ওঠানামার মধ্যে রয়েছে। ২০১৮ সালে বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬২.১১ ভাগ। ২০১৯ সালে কিছুটা বেড়ে পাসের হার দাঁড়ায় ৬৭.০৫ ভাগে।

এরপর ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের প্রকোপে এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়নি। তখন শিক্ষার্থীদের 'অটোপাস' দেওয়া হয়। ফলে পাসের হার ছিল শতভাগ।

করোনার প্রকোপ কমায় ২০২১ সালে সীমিত সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। তখন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯৪.৮০ ভাগ।

সবশেষ ২০২২ সালে যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, সেটির ফলাফল প্রকাশিত হলো গতকাল বুধবার। এবার পাসের হার ৮১.৪০ ভাগ। ২০২১ সালের চেয়ে পাসের হার কমেছে ১৩.৪০ ভাগ। এবার ৬৬ হাজার ৪৯১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫৪ হাজার ১২২ জন। অর্থাৎ, ফেল করেছে ১২ হাজার ৩৬৯ জন। অথচ এর আগের বছর (২০২১) ৬৬ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফেল করেছিল ৩ হাজার ৪৬৮ জন।

এদিকে এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭১ জন। জিপিএ-৫ প্রপ্তদের মধ্যে ২ হাজার ১৮২ জন ছাত্র এবং ২ হাজার ৬৮৯ জন ছাত্রী। বিভাগে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে এগিয়ে মেয়েরা। গত বছরে তুলনায় এ বছর জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেড়েছে ১৪০টি। গতবার বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৭৩১ শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে, ছেলেদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬১ শতাংশ আর মেয়েদের ৮২ দশমিক ৬১ শতাংশ। বিভাগে পাসের হার বিবেচনা করলে এগিয়ে আছে মেয়েরা। গত বছর বিভাগে ছেলেদের পাসের হার ছিল ৯৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ আর মেয়েদের ছিল ৯৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সদস্য সচিব কবির আহমদ বলেন, গত বছর ভয়াবহ বন্যার পানি অনেকেরই বই-খাতা ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। অনেকে ঠিকমতো প্রস্তুতিও নিতে পারেনি। যে কারণে ফলাফল কিছুটা খারাপ হয়েছে।

সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, 'বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই ইংরেজিতে খারাপ করেছে। এ বিষয়টিতে একটু খেয়াল করলেই আগামীতে ফলাফল বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে