সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিলস্নায় গুলিবিদ্ধসহ বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আহত

যাযাদি ডেস্ক
  ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
শনিবার কুমিলস্নার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের গৈয়ারভাঙা বাজারে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি হামলায় গুলি ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় দু'জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে -স্টার মেইল

কুমিলস্নায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে গুলি ছুড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে জেলার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের গৈয়ারভাঙা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ 'শনিবার দুপুর ২টায় লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলামের বাড়িতে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। দুপুর ২টার দিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াত উলস্নাহর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা গৈয়ারভাঙা বাজারে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।'

বিএনপি নেতারা বলেন, 'গৈয়ারভাঙা বাজারে মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উন্দানিয়া গ্রামে গিয়ে বিএনপির সভাস্থলের মঞ্চ, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন এ সময় আতঙ্কে মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকেন। একপর্যায়ে অস্ত্রধারীরা গুলি চালায়। এতে বিএনপি কর্মী মনির হোসেনের মাথায় গুলি লাগে। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ

আহমেদ খানের পায়ে ও পেটে গুলি লাগে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। হামলার সময় বিএনপির সভাস্থলের মঞ্চ ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়।'

বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, 'হামলার সময় তার উন্দানিয়া গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি মোটর সাইকেল ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।'

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, 'উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম শাহীন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াত উলস্নাহর নেতৃত্বে হামলা করা হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত নেতাকর্মীদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখে এসেছি।'

কুমেক হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ শরিফ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আহত হয়ে হাসপাতালে আসা একজনের পায়ে ও হাতে এবং আরেকজনের মাথায় গুলি লেগেছে। তবে তারা এখন কিছুটা আশঙ্কামুক্ত।'

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, 'বিএনপির লোকজন আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করেছে। আমাদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না, কারা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তিনি জানেন না।'

\হলালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সরকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'বেলঘর উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকজনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে বিএনপির মঞ্চ ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে