সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

মজুতদারদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার বিধান রেখে নতুন আইন হচ্ছে :খাদ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী
  ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

মজুতদারদের সাবধান হওয়ার হঁশিয়ারি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, অসৎ ব্যবসায়ী ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার বিধান রেখে নতুন আইন হচ্ছে। আইনটা যেমন সৎ ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই ভালো, তেমনই অসৎ ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই খারাপ। এই মেসেজটা আপনাদের দিলাম। মজুতের বিরুদ্ধে, বিপণনের বিরুদ্ধে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া বস্তা পরিবর্তন করা ইত্যাদি বিষয়ে আইনে স্পষ্ট বলা আছে। সেখানে জেল জরিমানার কথা আছে। মজুতদাররা সাবধান হয়ে যান। সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা করেন।

মঙ্গলবার

সকালে নোয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'বর্তমানে বাজার মনিটরিং করছি। খুব দ্রম্নতই আমরা মাঠে অপারেশন যাবো। আমরা ধাক্কা খেয়েছি, সেখান থেকে শিখেছি। আমাদের চাল আছে, মজুত আছে কিন্তু দেখা যাচ্ছে বাজারে প্রতিদিন দাম বাড়ছে। অনেক গ্রম্নপ এই সুযোগ নিয়েছে। আমরা কিন্তু কাউকে ছাড়ি নাই। বড় বড় গ্রম্নপের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করেছি। আমি মামলার ভয় দেখাচ্ছি না।'

যারা ধান চালের ব্যবসা করেন তারাও সেবা করছেন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, 'এটাও একটা সেবা। মানুষের পেটের খাবার অবৈধ মজুত রেখে অন্যের পেটে কষ্ট দেওয়া আলস্নাহর পক্ষ থেকে ভালো সওয়াব পাবেন না। তাই আপনাদের সবাইকে সহনীয় পর্যায়ে দেখতে হবে।'

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্যবান্ধব সরকার ৫০ লাখ মানুষকে চাল দিচ্ছে। এক কোটি মানুষকে টিসিবির সেবা দিচ্ছে। সেখানে ৩০ টাকায় চাল ও ২৬ টাকায় আটা দিচ্ছি। এটা বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য আমরা করছি। আবার আমরা ধান সংগ্রহ করছি, চাল সংগ্রহ করছি যেন কৃষকের ধানের দাম পড়ে না যায়। তারা যেন ধানের আবাদ থেকে সরে না আসে। তাই বলছি সততা নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা করুন। আমরাও সচেতনতার জন্য কিছু প্রোগ্রাম করব।'

খাদ্যমন্ত্রী পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে নোয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে নবনির্মিত ভবন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার, চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস. এম. কায়ছার আলী, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র মো. সহিদ উল্যাহ্‌ খানসহ এলাকার সুধীজন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে