শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ তিন দিনের হিট অ্যালার্ট

যাযাদি ডেস্ক
  ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪১.৫ ডিগ্রি মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে

বৈশাখ মাসের শুরু থেকেই সারাদেশে বইছে তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা জেলায় টানা চার দিন ধরে ৪০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। শুক্রবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা ছাড়াও বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশেও বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে এমন পূর্বাভাস জানিয়ে তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মলিস্নক সতর্কবার্তায় জানিয়েছেন, 'দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।'

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, 'লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।'

চুয়াডাঙ্গা থেকে স্টাফ রিপোর্টার রেজাউল করিম লিটন জানান, জেলায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। টানা চার দিন ধরে ৪০ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। টানা দাবদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীকুল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। শুক্রবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র দাবদাহে হিট ওয়েভ জারি করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। মাইকিং করে বলা হয়, খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হতে।

দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে চরম গরম অনুভূত হচ্ছে। রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। রোদের তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশ। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদের। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা। দাবদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, 'তীব্র দাবদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, আপাতত বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনো পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না।'

২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আশু মিয়া বলেন, 'প্রচন্ড গরমে মাঠে জমিতে কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। ভ্যাপসা গরমে বেশিক্ষণ মাঠে অবস্থান করা সম্ভব হচ্ছে না। ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমিতে সেচ দেওয়ার পরও মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে।'

কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুজন আলী বলেন, 'সকালে কাজের জন্য অফিসে আসতে হয়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর প্রচন্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। সড়ক থেকে গরম উঠে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। বাইরে বেশি সময় অবস্থান করা যাচ্ছে না।'

উথলী গ্রামের শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, বারবার পানি পান করেও তৃষ্ণা মেটানো যাচ্ছে না। বৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন। পরিবেশের ভারসাম্য বাজায় রাখতে গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই। ৪০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে প্রতিদিন।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বাড়ার কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শক্রমে চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার ৭২ ঘণ্টার জন্য হিট ওয়েভ (তীব্র দাবদাহের সতর্কতা) জারি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় তথ্য অফিসের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

রাজশাহী অফিস থেকে বদরুল হাসান লিটন জানান, বৈশাখের শুরু থেকে তাপপ্রবাহে পুড়ছে রাজশাহী। দিনের তাপমাত্রা যেন প্রতিদিনই বাড়ছে। বৈশাখের চার দিনে রাজশাহী তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গত ১৭ এপ্রিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর চার দিন আগে ১৩ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাওয়ায় রাজশাহী অঞ্চলে তাপমাত্রা বাড়ছে। যা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। গত বুধবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে পরের দিন বৃহস্পতিবার সামান্য কমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে গত মঙ্গলবার ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, সোমবার ৩৯ দশমিক, রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সাধারণত দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। এ ছাড়া ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর উঠলেই তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। গরম বাতাস যেন শরীরে বিঁধছে আগুনে হল্কার মতো। এতে হাঁপিয়ে উঠেছেন শ্রমজীবী মানুষ। পেটের দায়ে তারা ঘর থেকে বের হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট।

অন্যদিকে অস্বস্তিকর এমন আবহাওয়ায় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়রিয়া, হাঁপানি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। এছাড়াও হাসপাতালের আউটডোরে এসব রোগে আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে।

যশোর থেকে স্টাফ রিপোর্টার মিলন রহমান জানান, যশোরে তাপপ্রবাহের মাত্রা আরও বেড়েছে। শুক্রবার জেলার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, যশোরে বৈশাখের খরতাপে বাড়ছে তাপপ্রবাহ। গত তিন দিন ধরে এই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে ঘোরাফেরা করছে। শুক্রবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বৃহস্পতিবার যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিন চুয়াডাঙ্গায়ও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আর বুধবার যশোরে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে, বৈশাখের খরতাপে হাঁসফাঁস করছে যশোরবাসী। এই জেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। বৈরী হয়ে উঠছে প্রকৃতি। হাঁসফাঁস করছে জনজীবন-প্রাণীকুল। খরতাপে সারাদিনই অস্বস্তিকর সময় পার করছে সাধারণ মানুষ। গরমের তীব্রতায় জীবনযাত্রা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রচন্ড গরমে ঘরের বাইরে আসা সাধারণ মানুষ পড়ছেন বিপাকে। বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউবা আবার আখের রস, লেবুর শরবত খেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।

শহরের কোর্ট মোড়ে আখের রস বিক্রেতার শহিদুল ইসলাম বলেন, 'গরমে মানুষজন আসছে, রস খাচ্ছে। তবে প্রচন্ড গরমে রাস্তায় দাঁড়ানোই দায়। রস বিক্রি করতে গিয়েও গরমে ঘাম ছুটে যাচ্ছে।'

পাবনা প্রতিনিধি আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী জানান, জেলার ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘরে বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ ও প্রাণীকুল। শুক্রবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ওঠে ৪১ ডিগ্রি।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, 'বিকাল তিনটায় পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মৌসুমে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।'

তিনি বলেন, 'বর্তমানে ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। তীব্র তাপের কারণে সূর্যের আলো তির্যকভাবে শরীরে অনুভূত হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে আকাশে মেঘের উপস্থিতি খুবই কম এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় ঈশ্বরদীর প্রকৃতিতে তীব্র তাপ অনুভূত হচ্ছে। সহসা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।'

তিনি আরও জানান, 'গত বছর ১৭ এপ্রিল ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই।'

পাবনা শহরের পৈলানপুর মোড়ে অটোরিকশায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন চালক মহির উদ্দিন (৬০)। তিনি বলেন, 'এত্তো গরম আর তাপ বাপু জীবনে কুনুদিন দেহি নাই। রোদের মধ্যি যাওয়াই যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে শরীরের মধ্যি আগুন লাগতিছে।'

শহরের কোর্ট মোড়ে আখের রস বিক্রেতার শহিদুল ইসলাম বলেন, 'গরমে মানুষজন আসছে, রস খাচ্ছে। তবে প্রচন্ড গরমে রাস্তায় দাঁড়ানোই দায়। রস বিক্রি করতে গিয়েও গরমে ঘাম ছুটে যাচ্ছে।'

পাবনা প্রতিনিধি আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী জানান, জেলার ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘরে বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ ও প্রাণীকুল। শুক্রবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ওঠে ৪১ ডিগ্রি।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, 'বিকাল তিনটায় পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মৌসুমে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।'

তিনি বলেন, 'বর্তমানে ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। তীব্র তাপের কারণে সূর্যের আলো তির্যকভাবে শরীরে অনুভূত হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে আকাশে মেঘের উপস্থিতি খুবই কম এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় ঈশ্বরদীর প্রকৃতিতে তীব্র তাপ অনুভূত হচ্ছে। সহসা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।'

তিনি আরও জানান, 'গত বছর ১৭ এপ্রিল ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই।'

পাবনা শহরের পৈলানপুর মোড়ে অটোরিকশায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন চালক মহির উদ্দিন (৬০)। তিনি বলেন, 'এত্তো গরম আর তাপ বাপু জীবনে কুনুদিন দেহি নাই। রোদের মধ্যি যাওয়াই যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে শরীরের মধ্যি আগুন লাগতিছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে