করোনাভাইরাসের সুযোগে বরিশালের বানারীপাড়ায় উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে বাল্যবিবাহ। গত ৬ মাসে পৌর শহরসহ উপজেলার ৮ ইউনিয়নে অন্তত ২০-২২টি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের নজর এড়াতে বরিশাল শহরে নিয়েও বাল্যবিবাহ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে কিছু বাল্যবিবাহের ঘটনাও ঘটে। রেজিস্ট্রি না করে শুধু হুজুর ডেকে কলেমা পড়িয়ে বাল্যবিবাহের অভিযোগও আছে।
অভিযোগ আছে, অনেক ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিরা জন্ম নিবন্ধনে বয়স বাড়িয়ে বাল্যবিবাহকে উৎসাহিত করছেন। এছাড়া অর্থের লোভে বাল্যবিবাহ পড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রারদের বা কাজীদের বিরুদ্ধেও।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউএনও শেখ আব্দুলস্নাহ সাদীদ বিভিন্ন বিয়ের আসরে ৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে বর-কনের পরিবার ও বরকে জেল-জরিমানা করেছেন। সোমবার রাতে উপজেলার বড় ভৈৎসর গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে বরকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়।
বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুলস্নাহ সাদীদ জানান, মহামারির সুযোগে গোপনে বাল্যবিবাহ দেওয়া হলে কিছুই করার থাকে না। তবে খবর পেলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে বর-কনের পরিবারের সদস্যদের জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। তিনি বাল্যবিবাহ বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সাংবাদিক ও শিক্ষকসহ সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।