শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জরাজীর্ণ বৈদু্যতিক লাইন, মৃতু্যর ঝুঁকিতে জনজীবন

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বৈদু্যতিক লাইন যেন এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বৈদু্যতিক খুঁটির পরিবর্তে মরা গাছ ও পচা বাঁশের খুঁটিতে জরাজীর্ণভাবে বিভিন্ন গ্রামে দেওয়া হয়েছে বিদু্যৎ সংযোগ। ফলে বিভিন্ন সময়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।

বিদু্যৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, ভূঞাপুরে শতভাগ বিদু্যতায়নের জন্য ৮২৬ কিলোমিটার নতুন লাইন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১২৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রতি বছর লাইন সংস্কার, খুঁটি, তার, ট্রান্সফরমারসহ বিভিন্ন বৈদু্যতিক মালামাল ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ আসে হাজার হাজার টাকা। তারপরও শতভাগ বিদু্যতায়ন ঘোষণার সাড়ে চার বছর অতিক্রম হলেও এর সুবিধা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

গোবিন্দাসী গ্রামের আবুল কালাম জানান, গোবিন্দাসী স্কুল রোডে লাইনটি জরাজীর্ণ। মাথা ছুঁইছুঁই। মরা বাঁশ দিয়ে লাইন টিকিয়ে রাখা হয়েছে। দড়ি আর ছেঁড়া কাপড় দিয়ে তার বেঁধে রাখা হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। একাধিকবার বিদু্যৎ অফিসে জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না তারা।

চেংটাপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিন বলেন, তার বাড়ির সামনে দিয়ে জরাজীর্ণ একটি বিদু্যতের লাইন গেছে। এ লাইনে দুইটি গরু ও পুকুরের ১৫ হাজার টাকার মাছ মারা যায়। লাইনটি সংস্কারের জন্য ৭ মাস আগে ভূঞাপুর বিদু্যৎ অফিসে আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত লাইনটি সেই অবস্থাতেই রয়ে গেছে। শুধু কালাম ও আলাউদ্দিন নয়, এ রকম অনেক অভিযোগ শত শত গ্রাহকের।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান ভূঁইয়ার অফিসিয়াল নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিরাজের সঙ্গে ফোনে এসব বিষয় জানতে চাইলে তিনি বিদু্যৎ অফিসের অভিযোগ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে