আজকের যায়যায়দিন

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পাইপ লাইনে পানি সরবরাহ না পেয়ে কুশলী ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সরদারকে জুতা পেটা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গলবার সকালে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তিনি কুশলী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ওই ইউনিয়নের খালেক বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ৩ মাস কুশলী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহকৃত সুপেয় পানি ঠিকমতো পাচ্ছিলেন না ৬,৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। অথচ পানির বিল বাবদ প্রতি মাসে রশিদের মাধ্যমে ৫০০ টাকা করে ওইসব বাসিন্দাদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সরদারকে এলাকাবাসী ও অভিযুক্ত কামরুল একাধিকবার জানালেও কোনো সমাধান হয়নি। পরে গত রোববার পানি সরবরাহ নিয়ে সন্ধ্যায় খালেক বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয় কামরুল ইসলামের। একপর্যায় পায়ের জুতা খুলে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারতে শুরু করেন কামরুল।

অভিযুক্ত কামরুল ইসলামের স্ত্রী লাইজু বেগম বলেন, 'চেয়ারম্যানকে জুতা পেটা করা হয়নি। গত তিন মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহকৃত পানি আমরা পাচ্ছি না। চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ নিয়ে কামরুলের বাকবিতন্ডা হয়েছে। আর এ ঘটনার পর গত সোমবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের ভাই জাহাঙ্গীর সর্দারের ছেলে হৃদয়সহ ১০-১৫ জন লোক আমাদের দোকানের ব্যানার ফেস্টুন ভাঙচুর এবং এছাড়া আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।'

এ বিষয়ে কুশলী ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সর্দার বলেন, 'রোববার সন্ধ্যায় আমি গাড়ি থেকে নেমে এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কথা বলছিলাম। হঠাৎ কামরুল জুতা দিয়ে আমার পেছনে আঘাত করে। তারা নিজেদের দোষ ঢাকতে বিভিন্ন রকম রটনা রটাচ্ছে। তবে পানির সরবরাহ মিটারে সমস্যা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।'

টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় চেয়ারম্যান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

খরা ও দাবদাহে ঝরে পড়ছে আম-লিচুর মুকুল-গুটি