সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বৃষ্টিতে সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা পানির নিচে বিস্তীর্ণ জনপদ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
সাতক্ষীরায় পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকা বসতঘরের আঙ্গিনা -যাযাদি

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার নিম্নাঞ্চল ও সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী খনন হলেও নদীর জায়গা দখলদারিত্বের কারণে পানি নিষ্কাশনের দ্বার বন্ধ হয়ে আছে। ফলে এখনো পানিতে তলিয়ে আছে রাস্তা-ঘাট, বসতবাড়ি ও মৎস্য খামার। জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রম্নত জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি চান এলাকাবাসী।

সরেজমিন দেখা গেছে, গত ৭ থেকে ৮ দিনের বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার কামাননগর, মধুমলস্নারডাঙ্গী, কাঠিয়া মাঠপাড়া, পুরনো সাতক্ষীরা, বদ্দিপুর কলনি ও সদর উপজেলার ধুলিয়ার, ব্রহ্মরাজপুর, গবিন্দকাটিসহ বিস্তীর্ণ জনপদ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে আছে এলাকার রাস্তা-ঘাট, বসতবাড়ি, বাড়ির আঙিনা, ফসলি জমি ও মৎস্য ঘের। চরম ক্ষতি ও দুর্ভোগের মুখে এলাকাবাসী। জলাবদ্ধতা ও পানি নিরসনে নেই কোনো পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। বেতনা, মরিচ্চাপ ও কপোতাক্ষ নদের দুই ধারে অবৈধ বসতি ও দখলদারিত্বের কারণে পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন স্স্নুইস গেটগুলো অকেজো। পলি জমে বন্ধ হয়ে আছে পানির প্রবাহ। সে কারণে একটু বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু জানান, পৌরসভার ৪টি ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চল ও সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর, ধুলিহরসহ ৪টি ইউনিয়নে গত এক সপ্তাহের ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। ঠিকমতো পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি উন্নয়ন বোর্ড খাল ও নদ-নদী খনন কাজ করছে। খনন কাজ শেষ হলে এলাকা থেকে পানি নেমে যাবে। তা না হলে প্রতি বছরের ন্যায় স্যালোমেশিন দিয়ে পানি সেচে বেতনা নদীতে ফেলতে হবে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুর রহমান জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে নদনদী ও খাল খননের কাজ চলমান রয়েছে। দ্রম্নত কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে