আজকের যায়যায়দিন

নীলফামারীতে জামায়াত-শিবির ও সন্ত্রাসীদের তান্ডবে বাড়ি ছাড়া পরিবারগুলো নিরাপত্তার সঙ্গে বাড়ি ফিরে শান্তিতে বসবাস করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছে। রোববার সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর মুসরত কুখাপাড়া (কুমার পাড়া) গ্রামের ২১টি পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তার দাবিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী পরিবারের মাসুদ রানা, হায়দার আলী, চম্পা বেগম, লুৎফর রহমান, মাহফুজা আক্তার ও জামায়াত-শিবিরের আক্রমনের শিকার আইয়ুব আলীসহ আরও অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, 'জামায়াত-শিবির ও সন্ত্রাসী, অত্যাচারী, জুলুমবাজ, মিথ্যা মামলা বাজদের তান্ডবে দেড় বছর ধরে আমরা ২১ পরিবার বাড়ি ছাড়া। নিরাপত্তার সঙ্গে বাড়ি ফিরে শান্তিতে বসবাস করতে পারছি না। এরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের দেখলেই দেশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা ও পায়ের রগ কেটে দেওয়ার জন্য একাধিকবার ধাওয়া করে। এমন কি তারা অতর্কিত আক্রমণে আমাদের এলাকার আইয়ুব আলীর পায়ের রগ কেটে দেয়। সেসহ ৪ থেকে ৫ জন তাদের আক্রমণের শিকার হয়েছে। আমাদের সন্তানরা ঠিকমতো স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে যেতে পারছে না।'

ভুক্তভোগী সদস্যরা আরও অভিযোগ করে বলেন, 'কোনো কারণ ছাড়াই তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। বাড়িঘর লুট করে। আমাদের দুঃখ কষ্ট দেখে গত বছর শীতের সময় নীলফামারী-২ সদর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর টিউবওয়েল ও কম্বল দিয়েছেন। সন্ত্রাসী বাহিনী দিনে সেই টিউবওয়েল তুলে নিয়ে গেছে। শুধু তাই না প্রতিদিন রাতে আমাদের জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে এবং তাদের ভয়ে প্রতি শুক্রবার মসজিদে ও ঈদের নামাজ আদায় করতে পারি না। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা জীবনের নিরাপত্তা চাই।'