শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার শেরপুরের গজনী

তপু সরকার হারুন, শেরপুর
  ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০
শেরপুর জেলায় অবস্থিত নৈসর্গিক সৌন্দর্যমন্ডিত গজনী অবকাশ কেন্দ্র -যাযাদি

শেরপুর জেলার সীমান্তঘেঁষা ছোট-বড় পাহাড়, শাল, গজারি, সেগুন আর লতাপাতার অপূর্ব বিন্যাস, প্রকৃতিপ্রেমীদের বরাবরই আকর্ষণ করে। এখানে অবস্থিত নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার গজনী অবকাশকেন্দ্র। শীত মৌসুমে দেশের অনেক জায়গা থেকে ভ্রমণপিপাসুরা ভিড় জমান গজনী অবকাশকেন্দ্রে।

শেরপুর শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই অবকাশকেন্দ্রটি ১৯৯৩ সালে শেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়। ঝিনাইগাতি উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের প্রায় ৯০ একর পাহাড়ি

এলাকা নিয়ে এর বিস্তার।

ইট, কাঠ, কংক্রিট আর পাথরে গড়া নগর জীবনের কোলাহল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেন গজনী অবকাশকেন্দ্র। প্রতি বছর হাজারও পর্যটক এখানে ভিড় করেন। কেন্দ্রটি আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে কিছু স্থাপনা ও ভাস্কর্য।

গজনীর প্রবেশমুখেই রয়েছে মৎস্যকন্যা, ড্রাগন, জিরাফ ও হাতির প্রতিকৃতি। আগে এখানে ছোট একটি চিড়িয়াখানা ছিল। এখন এতে নতুন করে যোগ করা হয়েছে মেছোবাঘ, হরিণ, অজগর সাপ, ভলস্নুকসহ ৪০ প্রজাতির প্রাণী। যা বিনোদনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

'গারো মা ভিলেজেও' ছোঁয়া লেগেছে নতুনত্বের। মাশরুম ছাতার নিচে বা পাখি বেঞ্চে বসে পাহাড়ের ঢালে আদিবাসীদের জীবনযাত্রা, দিগন্তজোড়া ধানক্ষেত আর পাহাড়ি জনপদের ভিন্ন জীবনমান উপভোগ করা যাবে খুব সহজেই। শিশুদের জন্য চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্কের পাশাপাশি এবার নতুন যুক্ত হচ্ছে শিশুকর্নার।

বৈশ্বিক মহামারি করোনার বিপর্যয় মোকাবিলা করে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে গারো পাহাড় খ্যাত গজনী অবকাশকেন্দ্র। এখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উচ্ছ্বাস আর আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ভ্রমণপিপাসুদের। অনেকদিন পর পর্যটক দেখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা খুশি হলেও দর্শনার্থীদের সিংহভাগই মানছেন না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন করে পাহাড়ের বুকজুড়ে তৈরি হয়েছে সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে। পায়ে হেঁটে পাহাড়ের স্পর্শ নিয়ে লেকের পাড় ধরে হেঁটে যাওয়া যাবে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে।

পড়ন্ত বিকালে ছোট ছোট নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানোর জন্য এখানে রয়েছে লেক। এর বুকে নৌকায় চড়ে পাহাড়ের পাদদেশে কফি আড্ডা আর গান অন্যরকম দ্যোতনা তৈরি করবে আগত দর্শনার্থীদের হৃদয়-প্রাণে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে