শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ রক্ষা হলো না ছয় সন্ত্রাসীর

সেভেন স্টার সন্ত্রাসী গ্রম্নপের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা দাবি করত তারা
যাযাদি রিপোর্ট
  ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০
ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ছয়জন -যাযাদি

তারা মূলত প্রতারক চক্রের সদস্য। শুক্রবার রাতে ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্র জানায়, তারা সবাই সন্ত্রাসী গ্রম্নপ সেভেন স্টারের সদস্য বলত। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করত নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে।

সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের ফোন করে সন্ত্রাসী দল সেভেন স্টার গ্রম্নপের সদস্যরা কারাগারে, তাদের জামিনের জন্য টাকার প্রয়োজন। এ ছাড়া সংগঠন পরিচালনার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করত তারা। এজন্য শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের পরিচয় ব্যবহার করত এই গ্রম্নপের সদস্যরা।

শনিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, তুরাগ ও পল্টন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় প্রতারককে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলো বেলস্নাল খান, রাকিব খান টিটুল, আব্দুল হান্নান, দেলোয়ার হোসেন, সোহাগ ও খোরশেদ আলম। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সিমকার্ড, ব্যবসায়ীদের ফোন নাম্বার সংবলিত ডিরেক্টরি ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

উপ-কমিশনার মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, 'গ্রেপ্তার আসামিরা শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রম্নপের নামে সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করলেন। আসামিদের কারও ওই সন্ত্রাসী

গ্রম্নপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই। তারা মূলত প্রতারক চক্র। তারা চাঁদা আদায়ের সময় ব্যবসায়ীদের পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ এক ব্যবসায়ীকে চাঁদার দাবিতে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে ফোন দিয়ে অপহরণ ও হত্যার হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকাও দেয়। এরপর ভুক্তভোগীর দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদাবাজি চক্রের প্রধানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের কর্মকর্তা ওয়ালিদ বলেন, চক্রটি তিনভাগে কাজ করে। প্রথমে একটি দল ব্যবসায়ী ডিরেক্টরি সংগ্রহ করে। বাছাই করা ব্যবসায়ীদের নাম্বার দ্বিতীয় গ্রম্নপের কাছে সরবরাহ করে। দ্বিতীয় গ্রম্নপটি ফোন করে শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রম্নপের প্রধান কথিত বড়ভাই জিসানের কথা বলতে ফোন ধরিয়ে দেয়। কথিত সন্ত্রাসী জিসান নানাভাবে চাঁদা দাবি ও অপরহণ ও হত্যার হুমকি দিত।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি ওয়ালিদ হোসেন বলেন, এই গ্রম্নপের সদস্যরা মূলত মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল কেন্দ্রিক। ওই অঞ্চলে তাদের তৎপরতা বেশি। এক সময়ের আন্ডারগ্রাউন্ড জগতের প্রভাব বিস্তার করা শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রম্নপের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণামূলকভাবে চাঁদাবাজি করছিল তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে