শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
জরিমানা স্থগিত

ডেসটিনির রফিকুল আমীনের আপিল শুনবেন হাইকোর্ট

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ০৫ জুলাই ২০২২, ০০:০০

ডেসটিনি গ্রম্নপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ১২ বছরের কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের রায়ের বিরুদ্ধে তিনি এ আপিল করেন। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২২ জুন এ আদেশ দেন।

সোমবার আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে রফিকুল আমীনের আইনজীবী উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক বলেন, আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি তার ক্ষেত্রে ২০০ কোটি টাকা অর্থদন্ড স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে থাকা মামলার রেকর্ড (নথি) তলব করা হয়েছে।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের ওই মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম গত ১২ মে রায় দেন।

বিচারিক আদালতের রায়ে রফিকুল আমীন, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডের পাশাপাশি অর্থদন্ড দেওয়া হয়। রফিকুলকে ১২ বছরের কারাদন্ড ও ২০০ কোটি টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৬ জুন হাইকোর্টে আপিল করেন রফিকুল আমীন।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি পস্ন্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দু'টি মামলা হয়।

রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে উভয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আর ট্রি পস্ন্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। রফিকুলসহ ১২ জনের নাম দু'টি মামলাতেই রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে