রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব নয়

সেমিনারে বক্তারা
যাযাদি ডেস্ক
  ২২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

'বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দুর্নীতি একটি ব্যাধি। সামাজিক সচেতনতা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।' মঙ্গলবার সেন্টার ফর গভর্ননেন্স স্টাডিজ আয়োজিত 'কল টু অ্যাকশন এগেইনস্ট করাপশন' শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে দুর্নীতির প্রভাবের ওপর একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। গত দুই বছর ধরে ওই গবেষণা চালানো হয়েছে।

সেমিনারে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, 'অত্যন্ত দুঃখের বিষয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিও রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে মানুষের নেতা হয়ে যায়, এটি হতে পারে না। দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক সচেতনতা।'

সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ আব্দুল মজিদ বলেন, 'এখন যিনি দুর্নীতি করছেন, ভবিষ্যতে একদিন তিনিই দুর্নীতির শিকার হবেন। এই উপলব্ধি থাকতে হবে। অন্যথায় এটি বন্ধ হবে না।' সমাজে যারা দুর্নীতি করতে চায় না, তারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে এবং তাদের সুরক্ষা দিতে না পারলে দুর্নীতি প্রতিরোধের মানসিকতা কমে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ হেলালউদ্দিন বলেন, 'আমরা করপোরেট সংস্কৃতি না বুঝেই সেটিকে অনুসরণ করা শুরু করেছি। কোভিড ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরকার এসএমই খাতে প্রচুর সহযোগিতা দিয়েছে। কিন্তু এর একটি টাকাও ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা পায়নি।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, 'গত ১৫-২০ বছর ধরে আমরা বিভিন্ন গবেষণায় দেখে আসছি যে, ব্যবসা করতে যে প্রতিবন্ধকতা আছে তার মধ্যে দুর্নীতি শীর্ষে। ব্যবসা করতে গেলে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু দুর্নীতি সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলে।'

অনুষ্ঠানে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রেও দুর্নীতি সমস্যা আছে। দুঃখজনকভাবে আমার দেশেও কয়েকটি বড় ধরনের স্ক্যান্ডাল হয়েছে।'

অনুষ্ঠানে বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন এবং নির্বাহী পরিচালক জিলস্নুর রহমানও বক্তব্য রাখেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে