রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রাক-বাজেট আলোচনা সভা

রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার চায় বেসরকারি খাত

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৩ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

আগামী ২০-২৪ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব ব্যবস্থার বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারই আলোকে কর প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণ, কর ও মূসক সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ ব্যবসাবান্ধব অটোমেটেড কর ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের প্রস্তাব করেছেন তারা।

বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), দৈনিক সমকাল এবং চ্যানেল ২৪ কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত লাইভ 'প্রাক-বাজেট আলোচনা : প্রেক্ষিত বেসরকারি খাত' শীর্ষক আলোচনা সভায় ব্যবসায়ীরা এসব প্রস্তাব দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, 'রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি, ফেডারেল ব্যাংক কর্তৃক ডলারের সুদ হার বাড়ানোর বিষয়টি আমাদের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আমদানি কার্যক্রমে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করেছে ফলে আমাদের রিজার্ভে উপর তেমন প্রভাব পড়েনি, আশা করি আগামী জুনে এলসি ও ডলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।'

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ডক্টর শামসুল আলম বলেন, আগামী বাজাটে মূল্যস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় রাখা, প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ এবং সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা হ্রাস প্রভৃতি বিষয়সমূহের উপর অধিক গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। বৈশ্বিক ও স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের উচ্চাভিলাষী বাজেট প্রণয়নের সুযোগ নেই, তবে জনগণের খাদ্য নিরপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া দরকার।'

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) বলেন, দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বেসরকারিখাতের সমন্বয় আরও বৃদ্ধি করা জরুরি। জিপিডিতে করের অবদান বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই, তবে এ লক্ষ্যে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতকরণে আরও মনোযোগী হতে হবে। এছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে দ্রম্নততম সময়ে সব সেবা চালু করতে হবে। যা ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করবে।'

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, 'বাজেট প্রণয়নে বৈশ্বিক পরিস্থিতি, এলডিসি থেকে উত্তরণ, স্থানীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ প্রভৃতি বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা প্রয়োজন। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের বেসরকারিখাতের সক্ষমতা প্রতিনিয়ত হ্রাস পাচ্ছে এবং বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে কারণ এর সঙ্গে উদ্যোক্তারা সক্ষমতা হারালে সার্বিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।'

এফবিসিসিআইর প্রাক্তন সভাপতি ও হা-মীম গ্রম্নপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, 'সম্প্রতি গ্যাস, বিদু্যৎসহ অন্যান্য জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি বেসরকারি খাতকে বেশ প্রতিযোগিতার মুখোমুখি করেছে, এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক বাজার জ্বালানির মূল্য হ্রাস পেলে স্থানীয়ভাবে তা সমন্বয় করা প্রয়োজন।'

স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, 'লিস্টেড এবং নন-লিস্টেড কোম্পানির মধ্যে কর হারের ব্যবধান কমানোর পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবসাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নন-লিস্টেড কোম্পানির কর্পোরেট করের হার আরও ২.৫ শতাংশ কমানোর দরকার। এছাড়াও কর প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণ, কর ও মূসক সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ ব্যবসাবান্ধব অটোমেটেড কর ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করাও সময়ের দাবি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে