সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিগগিরই দেওয়া হবে নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা :ফখরুল

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৭ জুন ২০২৩, ০০:০০

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার পতনের 'একদফা'র আন্দোলনের ঘোষণা 'শিগগির'ই দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখাও জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি মূলত একদফার আন্দোলনেই আছে। এটা একেবারে আনুষ্ঠানিকভাবে আসবে খুব শিগগিরই। ঈদের পরে সরকার পতনের আন্দোলন আরও জোরদার হবে, আরও বেগবান হবে। যারা একসঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছেন তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আরও আলোচনা করে আন্দোলনকে আরও বেগবান করা হবে।

প্রধান দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি নিয়ে এসেছি, সংশোধনীর ওপর আলোচনা করছি, পরবর্তীতে সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটা রূপরেখা আসবে।

সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো সময় আছে, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আগে পদত্যাগ করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করুন। এই সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে তাহলে কোনোমতেই নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ হবে না। সেজন্য এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বিদেশিদের চাপ ও প্রভাবের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখানে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না। জনগণের অভু্যত্থানে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি মানতে বাধ্য হবে। তাদের যেতেই হবে। একটা কেয়ারটেকারের ব্যবস্থা করে ক্ষমতা ছেড়ে দিতেই হবে। পশ্চিমা বিশ্বসহ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো সরকারকে ইতোমধ্যে সে রকম বার্তা জানিয়ে দিয়েছে।

রিজার্ভের অর্থ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, আসলে রিজার্ভের টাকা আমদানি ব্যয় বেশি দেখিয়ে টাকা বের করে নিয়ে চলে গেছে। আর রিজার্ভের টাকা থেকে আইডিএফ খরচ করতে পারে না। এভাবে সরকার রিজার্ভ থেকে নিজেরাই পাচার করেছে। এভাবে যদি চলতে থাকে বর্গীরাও এখানে হার মেনে যাবে। এতো ভয়াবহভাবে দেশের টাকা লুট করতে থাকে তাহলে অর্থনীতি টিকে থাকতে পারে না।

সুইস ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গটি তুলে বলেন, এসব টাকা কাতারে যাচ্ছে না মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছে তা জানি না। এটা সত্য যে, সুইস ব্যাংকের টাকা বেরিয়ে আসছে।

সরকারের দমননীতির সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এতোকিছুর পরও সরকারের কোনো পরিবর্তন হয় নাই। একদিকে নেতাকর্মীদের ওপর ওরা হামলা করছে। আরেকদিকে বিএনপির নেতাদের তুলে দিয়ে যাওয়া, ভয় দেখানোর কাজ করছে। শুধু তাই নয়, যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তাদের চাকরিচু্যত করছে, বাধ্য করছে সেখান থেকে রিজাইন করতে।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে 'কিছুটা ভালো' হলেও অসুস্থতার 'ঝুঁকি'তেও আছেন। তার মূল সমস্যাগুলো সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা নাই। তার লিভার সিরোসিস আছে, সিরিয়াস আর্থ্রাইটিস আছে, হার্টের সমস্যা আছে। এগুলোর জন্য চিকিৎসকরা বলেছেন, মেডিকেল বোর্ড বলছেন, বাইরের বিশেষায়িত হাসপাতালে তার চিকিৎসা করার প্রয়োজন আছে। সেটা তো হচ্ছে না। এসময় বিএনপি মহাসচিব দেশবাসীকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছাও জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে