সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তাগাছায় যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আসাদুজ্জামান আসাদ (৩২) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় নাহিদ নামের আরেক যুবক আহত হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে শহরের আটানী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় রাজিব (৩০), সামিউল ইসলাম খোকন (৩২) ও শহিদ (৪০) নামের তিনজনকে আটক করেছে।

নিহত আসাদ উপজেলার তারাটী পূর্বপাড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ নায়েবের ভাতিজা। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ গ্রম্নপে যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে নিহতের চাচাত ভাই কাজী আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, ওই রাতে শহরের আটানী বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে আসাদ, নাহিদসহ কয়েকজন মিলে চা পান করছিলেন। তখন ১৫-২০ জনের একদল যুবক চাইনিজ কুড়াল, রড, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এ সময় তারা উপর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আসাদের দুই পা, হাত থেতলে দেয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ড্রেনের ওপর ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যান। ঘটনার সময় আসাদের সঙ্গে থাকা নাহিদ নামের অপর এক যুবক আহত হয়। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতের চাচাত ভাই কাজী আলমগীর জানান, 'মাস দুই আগেও আসাদকে একবার পিটিয়ে আহত করা হয়। সেই ঘটনায় থানায় মামলা চলমান রয়েছে। সেই মামলার আসামিদের নেতৃত্বেই আসাদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আসাদ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই গ্রম্নপের সক্রিয় কর্মী ছিল। এ নিয়ে প্রতিপক্ষ গ্রম্নপের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল।'

মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল মজিদ জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে