সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি নিজেদের অস্তিত্ব নিয়েই দুশ্চিন্তায় : কাদের

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

সরকার পতন তো দূরে থাক, বিএনপি এখন নিজেদের অস্তিত্ব নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কর্মসূচির ওপর নেতাকর্মীদের আস্থা নেই, জনগণেরও নেই। কালো পতাকা নিয়ে যে মিছিল হয়, সেটা শোক মিছিল। এ মিছিল দিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি সম্ভব নয়।

শুক্রবার সকালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন উপলক্ষে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুধী

সমাবেশস্থল পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস কিংবা সহিংসতা সৃষ্টির বিরুদ্ধে জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আমরা মনে করছি না যে এমন কোনো আঘাত আসবে, যেটা সামলানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। আমার প্রস্তুত, আমাদের প্রস্তুতি এক দিন-দুই দিনের না। আমরা বলেছি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত, আমাদের সতর্ক পাহারা থাকবে, যাতে আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাস-সহিংসতা এবং মানুষের জীবনের নিরাপত্তা সংকট কেউ সৃষ্টি করতে পারে। জানমাল নিরাপদে রাখা থেকে মানুষ বঞ্চিত হতে পারে, এ রকম কিছুর আশঙ্কা করে আমরাও শান্তি সমাবেশ করছি। এই শান্তিপূর্ণ অবস্থা এবং অবস্থান আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এবং নির্বাচনের পরেও বজায় থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কথায় নয়, কাজে বিশ্বাস করে। মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার এরই মধ্যেই তা প্রমাণ করেছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, কাওলা থেকে ফার্মগেট-তেজগাঁও রেলস্টেশন পর্যন্ত ১০-১১ মিনিটে কাভার করবে। এখানে অনেক যাত্রী আসা-যাওয়া করবেন। এর সুফল অবশ্যই পাবেন রাজধানীবাসী। এর সঙ্গে যখন মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন হয়ে যাবে, তখন সুফল অনেক বেড়ে যাবে এবং ঢাকা আরও আধুনিক শহরে রূপ নেবে। যান চলাচল আরও সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। এখন যে অংশ উদ্বোধন হচ্ছে না, সেখানেও অনেক কাজ হয়ে গেছে। আশা করছি আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোটা চালু করতে পারব। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট থেকে মগবাজার, মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত গন্তব্য। পুরো অংশের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার।

কাদের বলেন, দেশের মানুষ এখন কথা শুনতে অভ্যস্ত নয়, কাজ দেখতে অভ্যস্ত। আওয়ামী লীগ কথা দিয়ে কথা রাখে সেটা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রমাণিত। শেখ হাসিনার সরকারের সেই উন্নয়ন কর্মসূচির কারণে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিএম মোজাম্মেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপস্নব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে