সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডিসেম্বরের আগেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে

অবস্থান কর্মসূচিতে শামসুজ্জামান দুদু
যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

ডিসেম্বর-জানুয়ারির আগেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে- দাবি করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, 'একটা কথা দিবালোকের মতো সত্য যে, দেশে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। ভবিষ্যতে যারা মানবিক মানুষ, গণতন্ত্রের মানুষ, স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ তারাই সরকার গঠন করবে। এটাই সত্যি।'

বুধবার প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে 'অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে'র দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের নেত্রী, তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে; সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। স্পষ্ট করে বলি, তার যদি কিছু হয় তাহলে এটাকে দেশবাসী হত্যাকান্ড বলে গ্রহণ করবে; এটা সরকারের মাথায় রাখতে হবে। শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন, সেই হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে। জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে এই হত্যাকান্ডেরও বিচার করা হবে। বর্তমান সরকার প্রধান এবং যারা দায়িত্বে আছেন তারা যদি এটা মনে রাখেন তাহলে তাদের জন্য ভালো হবে, দেশেরও ভালো হবে, আমাদেরও ভালো হবে।'

দুদু বলেন, 'বাংলাদেশে একজন মাত্র নোবেল পেয়েছেন ডক্টর ইউনূস, তার সঙ্গে কী শুরু করেছে সরকার। সারা দেশের মানুষ, সারা বিশ্ব তার পক্ষে শুধু সরকারের পক্ষের গুটিকয়েক মানুষ তার বিপক্ষে। আইনমন্ত্রী বলেছেন তার (ডক্টর ইউনূস) পক্ষে কথা বললে কোনো অসুবিধা নেই। সহকারী অ্যাটর্নি ইমরান বলেছেন, ইউনূস ভালো মানুষ, তার বিপক্ষে আমি স্বাক্ষর করব না। এখন ইমরান সাহেবের নেমপেস্নট ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। ইমরান তো আপনাদেরই লোক। একটু ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তাতেই আপনাদের এই দশা!'

সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, 'বর্তমান নির্বাচন কমিশন একবার বলল, সবার সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। তারপর বলল, কেউ আসলে আসুক না আসলে নেই। তারা ৪ তারিখে নির্বাচনের ঘোষণা দিল। এ দেশের বুদ্ধিজীবী নামের ১৭১ জন চিহ্নিত হয়েছেন। তারা কী জিনিস এ দেশের জনগণ চিনেছে। ৬০ জন সম্পাদক, এরাও চিহ্নিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন আপনারাও চিহ্নিত হয়েছেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো একটি নির্বাচন আপনারা করতে চান। ভেবে চিন্তে করবেন। পাকিস্তানিরা বাঙালিদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল। ৭০ সালের নির্বাচনে তারা ভেবেছিল শেখ মুজিবুর রহমানকে ক্ষমতা না দিলে কী হবে; কিন্তু পাকিস্তান থাকেনি। এ সরকারে যারা নিয়ন্ত্রণকারী তারা যদি মনে করেন কিচ্ছু হবে না তাহলে তারা ভুল চিন্তায় আছেন।'

বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুলস্নাহ, বিলকিস ইসলাম, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে