রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

অবিরাম বৃষ্টিতে উত্তাপ নিত্যপণ্যের বাজারে

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

অবিরাম ২ দিনের বৃষ্টির উত্তাপ ছড়িয়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে সব ধরনের সবজি ও মাছের দাম। এদিন বেশির ভাগ সবজিই বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকার উপরে। অন্যদিকে ডিম ও মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও ফের বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। শুক্রবার রাজধানীর বাজারে ভোগ্যপণ্যের দামে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, দেশব্যাপী টানা বৃষ্টিতে সবজির সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পাইকারিতে বেশিভাগ সবজির কেজি ৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এমন বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বাজারে সবজির দাম আরও বাড়াবে। অন্যদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যেই বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তাসহ আশপাশের নদীর পানি। পস্নাবিত হচ্ছে কৃষি জমিও। ফলে বাজারে সপ্তাহজুড়েই সবজির সংকট থাকতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

এদিন সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের। রাজধানীর বাজারগুলোতে খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি দেশি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২৯০-৩শ' টাকা দরে। তুলনামূলক কম ঝালের মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৬০ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে প্রায় ১শ' টাকা।

এদিকে দাম নির্ধারণের ৩ সপ্তাহপার হলে বাজারে নির্ধারিত দামে মিলছে না আলু ও পেঁয়াজ। বরং এ সপ্তাহে আলুতে ফের ৫ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা এবং দেশি হ

পেঁয়াজে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা দরে। এমনকি কমতির দিকে থাকা মানহীন ভারতীয় পেঁয়াজেও ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকা দরে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দাম নির্ধারণের পর বাজার তদারকি জোড়দার থাকলেও বতর্মানে তা কিছুটা মন্থর রয়েছে। আর এই সুযোগেই বাজারে এই দুই পণ্যের দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। এদিকে কাঁচামরিচের পাশাপাশি বাড়তি রয়েছে বেশির ভাগ সবজির দাম।

এদিন বেগুনি গোল বেগুন বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকার উপরে। তবে বেশিরভাগ বাজারেই এর সরবরাহ সংকট দেখ গেছে। অন্যদিকে সবুজ গোল বেগুন বিক্রি হয়েছে ১শ' টাকার উপরে। বরবটি ও কচুরলতি বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, সিম ১৮০ টাকা, উস্তা, ধন্দুল লম্বা বেগুন, ঝিঙ্গা ও কাকরোল প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা, ছোট লাউয়ের পিস বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা, চাল কুমড়ার ৬০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকার উপরে। সবচেয়ে কম দামে প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে পেঁপে।

এছাড়াও বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে মাছে বাজারেও। এদিন বেশিরভাগ মাছের কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ২শ টাকা পর্যন্ত। যথারীতি যথারীতি ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৬শ' থেকে ১৮শ টাকা, ৪শ' থেকে ৫শ' গ্রামের ইলিশে কেজি বিক্রি হয়েছে ৮শ' টাকা দরে। সপ্তাহব্যবধানে প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে মাঝারি আকারের রুইয়ের কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকা, বড় কাতল ৫শ টাকা, বড় পাঙ্গাশ আড়াইশ টাকা, চাষের কই (ছোট) ৩৭০ টাকা, তেলাপিয়া ৩শ টাকা ও শিং মাছ ৬শ টাকা, শোল মাছ ৮শ' টাকা, পাবদা ৬শ' থেকে ৭শ' টাকা, ট্যাংরা মাছের কেজি আকার ভেদে ৮শ' থেকে ১ হাজার টাকা, মলা মাছ ৬শ' টাকা, বাইলা ১ হাজার টাকা, পোয়া মাছ ৪শ টাকা, মাঝারি আকারে বোয়াল ৭শ' থেকে ৮শ' টাকা, গুড়ামাছ ৪শ' টাকা, ছোট চিংড়ি ৫শ' টাকা, গলদা ৭শ' এবং বাগদা ৮শ' থেকে ৯শ' টাকা ও রূপচাঁদা ১ হাজার টাকা দরে।

অন্যদিকে প্রায় ২ মাস ধরে স্থিতিশীল থাকা মুরগির বাজার গত দু-সপ্তাহ ধরে কিছুটা বাড়তির দিকে রয়েছে। যা এ সপ্তাহেও অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৩০ টাকা এবং ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ২১০ টাকা দরে। এছাড়াও অপরিবর্তিত দামে প্রতিডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকা দরে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে