শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আবদুলস্নাহ ম্যাজিকে জিতল রাসেল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ২১ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বুধবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির বিপক্ষে গোল করার পর উচ্ছ্বসিত শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের খেলোয়াড়রা -বাফুফে

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচটিতেও জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত একমাত্র ম্যাচে তারা ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে। তবে এই জয় মোটেই সহজ ছিল না তাদের। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে গোল করে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আবদুলস্নাহ। এই জয়ে দুই ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে আছে শেখ রাসেল। আর সমান সংখ্যক ম্যাচে রহমতগঞ্জের পয়েন্ট মাত্র এক।

বুধবার ম্যাচের ৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মাহমুদুল হাসান কিরণের ফ্রি কিক ক্লিয়ার করেন রাসেলের কিরগিজ মিডফিল্ডার বখতিয়ার দুশবেকভ। পরের মিনিটে আরও একটি আক্রমণ সানিয়েছিল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। সোহেল মিয়ার ডান পায়ের দূরপালস্নার শট গ্রিপে নেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। ১৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে বক্সে থাকা রাসেলের নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার অবি মনেকে ওগোসুকোকে বলের যোগান দিয়েছিলেন ডিফেন্ডার খালেকুজ্জামান সবুজ। বিপদ হতে পারতো। তবে তার আগেই বল গ্রিপে নিয়েছেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। ২৫ মিনিটে আসাদুজ্জামান বাবলু বাঁ প্রান্ত থেকে থ্রো করে বক্সে বল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সতীর্থরা বল রিসিভ করার আগেই ক্লিয়ার করেছে রহমতগঞ্জের রক্ষণভাগ। ২৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মিডফিল্ডার আবদুলস্নাহর শটটি ছিল নিশ্চিত গোল।

তবে ভাগ্য সহায় হয়নি। একেতো বল লেগেছে বারের ডান পাশে, তার মধ্যে রাসেল মাহমুদও লাফিয়ে উঠে বলে হাত ছোঁয়ান। প্রথম গোলের সুযোগটি হাতছাড়া হয় শেখ রাসেলের। এর ঠিক দু'মিনিট পর বাবলুর থ্রোতে বক্সে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন রাসেলের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গেইন কার্লোস রদ্রিগেজ। ৩৮ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে তাজিক ফরোয়ার্ড দিলসভ ভসিয়েভ বল পাঠান ডান প্রান্তে থাকা ফরোয়ার্ড সোহেল মিয়াকে। সুযোগ থাকলেও সোহেল যে শটটি নেন তা চলে যায় বারের উপর দিয়ে। পরের মিনিটেই সুযোগ আসে রাসেলেরও। বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে যান অবি মনেকে। তাকে আটকে দিতে চেষ্টা করেছিলেন রহমতগঞ্জের মিশরীয় ডিফেন্ডার আলেদিন নাসের। কিন্তু ঢাকার মাঠের পরীক্ষিত এই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন অবি। তার কোনাকুনি শট অল্পের জন্য খুঁজে পায়নি জাল। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থেকেই বিশ্রামে গেছে দুই দল।

প্রথমার্ধে দু'দলই ম্যারম্যারে ফুটবল উপহার দিলেও দ্বিতীয়ার্ধে খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসতে শুরু করে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। ৬১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ক্রস করেছিলেন বখতিয়ার, ডান প্রান্তে বক্সের বেশ কাছে বল পেয়েও আবদুলস্নাহ যে শটটি নেন তা চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয় রাসেলের। পরের মিনিটে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে রহমতগঞ্জের বক্সে ঢুকে শট নেন অবি মনেকে। কিন্তু এবারও লক্ষ্যে স্থির থাকতে ব্যর্থ হন। কিছুক্ষণ পরই ডান প্রান্ত থেকে বাবুলের থ্রো বক্সে ছোট করে হেড করে সতীর্থকে দেন রদ্রিগেজ। বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন আবদুলস্নাহ। কিন্তু তা সরাসরি আশ্রয় নেয় রহমতগঞ্জের গোলরক্ষকের হাতে।

আর ৬৭ মিনিটে দিলশদের ফ্রি কিক বক্সে হেড নিয়েছিলেন আইভরি কোস্টের ফরোয়ার্ড ক্রিস্ট রেমি। কিন্তু অল্পের জন্য গোলের দেখা পাননি রহমতগঞ্জের এই বিদেশি খেলোয়াড়। তবে ৭৪ মিনিটে ম্যাচে লিড নেয় শেখ রাসেল। ডান প্রান্ত থেকে বখতিয়ারের মাপা কর্নার বক্সে পেয়ে মোহাম্মদ আবদুলস্নাহ ডান পায়ের দুর্দান্ত এক শটে কাঁপিয়ে দেন রহমতগঞ্জের জাল (১-০)। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্রাদার্সের বিপক্ষেও গোল করেছিলেন রাসেলের এই স্থানীয় ফরোয়ার্ড। আর এই গোলেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় রাসেলের। কারণ নির্ধারিত সময়ে আর গোলটি শোধ করতে পারেনি রহমতগঞ্জ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে