শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আবাহনীকে নিয়েই শেষ আটে শেখ রাসেল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

ফেডারেশন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে নিহাত জামান উচ্ছাসের একমাত্র গোলে শেষ আট নিশ্চিত করেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে পুলিশ ফুটবল ক্লাবকে (১-০) গোলে হারায় শেখ রাসেল। তবে তাদের সেই জয়ে লাভবান হয়েছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডও। গ্রম্নপে তিন দল হওয়াতে পুলিশের দুই হারে রাসেলের পাশাপাশি শেষ আট নিশ্চিত হয়ে গেছে আবাহনীরও।

ফেডারেশন কাপের এবারের আসরে অন্য দুই গ্রম্নপে ৪টি করে দল হলেও গ্রম্নপ 'সি'তে তিনটি দল। যে কারণে দুই ম্যাচে হেরে গেলেই বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় কোন দলের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর কাছে হেরে অনেকটাই ব্যাকফুটে ছিল পুলিশ ফুটবল ক্লাব। তাই টুর্নামেন্টের টিকে থাকতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শেখ রাসেলের কাছ থেকে অন্তত একটি পয়েন্ট আদায় করে নেওয়ার বিকল্প ছিল না তাদের।

মুন্সীগঞ্জে ম্যাচের ১১ মিনিটে রাসেলের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমফন উদোহের কর্নার কিক সরাসরি ফিস্ট করেন পুলিশের গোলরক্ষক তুষার। ১৩ মিনিটে বা প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে বক্সের ভেতর পাস দেন এমফন উদোহ। কিন্তু বল রিসিভ করতে পারেননি পোস্টের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা ইব্রাহিম। এর আগেই বল ক্লিয়ার করেছেন পুলিশের ডিফেন্ডাররা। ২৭ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে দুর্দান্ত গতিতে রাসেলের বক্সের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশের ফুটবলার জিলস্নুর। কিন্তু বক্সে পৌঁছার আগেই বলের দখল হারান তিনি। বল ছিনিয়ে নেন রাসেলের ডিফেন্ডাররা। ২৮ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে কঙ্গোর ফরোয়ার্ড মাপুকু বল পাঠিয়েছিলেন কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি ইব্রাহিম। তার শট চলে যায় মাঠের বাইরে। ফিরতি বলে ডান প্রান্ত থেকে এমফন উদোহ শট নিতে গিয়ে পড়ে যান। উঠে নিজেকে সামলে নিয়ে শট নেন, তবে তার দুর্বল শট খুব সহজেই গ্রিপ করেছেন তুষার। ৩৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে এমফন উদোহ পোস্ট লক্ষ্য করে বল পাঠালেও দারুণ হেডে বল ক্লিয়ার করেন পুলিশের ইসমাইল। ৪১ মিনিটে বক্সের কাছেই ফ্রি কিক পায় শেখ রাসেল। এমফন উদোহের স্পট কিকে বক্সে উড়ন্ত বলে মাথা ছুঁইয়ে ছিলেন তিমুর তালিপপ। কিন্তু বল চলে গেছে বারের উপর দিয়ে। প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য।

৫০ মিনিটে পোস্টের কাছ থেকে তিমুর তালিপপের শট গ্রিপ করতে পারেননি তুষার। হাত ফসকে বল ছুটে যায়। ইব্রাহিম বল জালে জড়িয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই পড়েছিলেন অফসাইডের ফাঁদে। যে কারণে পুলিশের জালে বল পাঠিয়েও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি শেখ রাসেল। ৫৫ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে ইব্রাহিমের কাছ থেকে আসা বল গ্রিপ করেন তুষার। ৫৮ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে পুলিশের শওকত রাসেল সতীর্থকে উদ্দেশ্য করে বল পাঠালেও বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন রাসেলের ডিফেন্ডাররা। ৬০ মিনিটে চার্লস দিদিয়েরের শট চলে যায় পুলিশের বারের উপর দিয়ে। ৬৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে চার্লস দিদিয়েরের ডান পায়ের ফ্রি কিক বক্সে ক্লিয়ার করেন পুলিশের ঈসানূর। ৭৬ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে আক্রমণে যাবার মুহূর্তে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের ফাউলের শিকার হন ইব্রাহিম। ডান প্রান্ত থেকে এমফন উদোহের স্পট কিক বক্সে পেয়ে হেডে জালে জড়িয়ে দেন নিহাত জামান উচ্ছাস (১-০)। ম্যাচে লিড নেয় শেখ রাসেল। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে আরও একটি গোল করার সুবর্ণ সুযোগ থেকে রাসেলকে বঞ্চিত করেন পুলিশের গোলরক্ষক তুষার। ডান প্রান্ত থেকে জামাল ভুইয়ার মাপা ফ্রি কিক বক্সে জটলার মধ্যে পেয়ে ব্যাকহেড করেছিলন চার্লস দিদিয়ের। তবে তুষারকে পরাস্ত করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত দুই ম্যাচ হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় পুলিশের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে