রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বপ্নের ফাইনালে ম্যানসিটি

ক্রীড়া ডেস্ক
  ১৯ মে ২০২৩, ০০:০০
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে জোড়া গোল করায় বার্নাডো সিলাভাকে ঘিরে ম্যানসিটির সতীর্থদের উচ্ছ্বাস -ওয়েবসাইট

গেলবার রিয়াল মাদ্রিদ বুক ভেঙেছিল ম্যানচেস্টার সিটির। এবারো তেমন অনুমান করেছিলেন অনেকে। কিন্তু ফুটবলটা যে সব সময় ভবিষ্যদ্বাণী মেনে চলে না। আর চলে না বলেই তা রোমাঞ্চ ছড়ায় সবুজ গালিচায়। এবার রিয়াল ভাগ্য বদলেছে ম্যানসিটি। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের বিপক্ষে কী দুর্দান্ত ফুটবলই না খেলল ম্যানসিটি! আক্রমণের ঝড় তুলে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে প্রথমার্ধেই দু'বার জালে বল পাঠালেন বার্নাডো সিলভা।

বিরতির পর রিয়াল ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল বটে, কিন্তু পারল না নূ্যনতম ব্যবধান গড়তেও। স্মরণীয় জয়ে ইতিহাস রচনার বাসনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পা রাখল ম্যানসিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ৪-০ গোলে জিতেছে পেপ গার্দিওলার দল। সিলভার জোড়া গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে আত্মঘাতী গোল করেন এদের মিলতাও। আর শেষদিকে চতুর্থ গোলটি করেন জুলিয়ান আলভারেজ। প্রথম লেগ ১-১ ড্র হওয়ায় দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ অগ্রগামিতায় ফাইনালে উঠল ম্যানসিটি। তিন মৌসুমের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে উঠল ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।

গত আসরের সেমিফাইনালে এই রিয়ালের বিপক্ষেই ফিরতি লেগে অবিশ্বাস্য কয়েক মিনিটে পথ হারিয়ে হেরে বসেছিল ম্যানসিটি। এবার আর কোনো ভুল হতে দেয়নি তারা। বলা যায়, ইউরোপের রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নদের কোনো পাত্তাই দেয়নি তারা। লক্ষ্য এবার আরাধ্য ইউরোপ সেরার মুকুট মাথায় তোলার। ২০২০-২১ মৌসুমে প্রথমবার ফাইনালে উঠেছিল ম্যানসিটি। ফেভারিটের মর্যাদায় মাঠে নেমেও সেবার চেলসির বিপক্ষে হেরে বসেছিল তারা। এবার সেই হতাশা ভোলার পালা। যে লক্ষ্যে তাদের প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান। আগামী ১০ জুন ইস্তানবুলে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে পেপ গার্দিওলার দল ম্যানসিটি।

স্কোরলাইনের মতো মাঠে দুই দলের পারফরম্যান্সেও এ দিন ছিল অনেক বড় ব্যবধান। ম্যানসিটির শক্তিশালী আক্রমণভাগ সামলানোর জন্য রিয়ালের রক্ষণভাগকে যতটা দৃঢ় হতে হতো, তা যে তার ধারেকাছেও ছিল, সেটা স্কোরলাইনেই স্পষ্ট। তাদের মাঝমাঠও ছিল বিবর্ণ। আর আক্রমণভাগকে বলা যায় পুরোপুরি ব্যর্থ; মোক্ষম সময়ে ভুল পাস, বল ছেড়ে দেওয়া, যেন সবই ছিল সাদামাটা। ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজতে শুরু হয় ম্যানসিটির আক্রমণ। প্রবল চাপ সামলে রিয়াল নিজেদের সীমানা থেকে সেভাবে বের হতেই পারছিল না।

নিজেদের ঘরের মাঠে ম্যাচের সাত মিনিটে দারুণ একটি সুযোগও পায় ম্যানসিটি। কিন্তু কেভিন ডি ব্রম্নইনের পাস পেয়ে বক্সে গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে কাটিয়ে শট নেওয়ার জায়গা পাননি আর্লিং হাল্যান্ড। ২১ মিনিটে কোর্তোয়ার অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় বেঁচে যায় রিয়াল। দুই মিনিট পর আর পারেননি কোর্তোয়া। ডান দিক থেকে শাণানো আক্রমণে ডি ব্রইনের পাস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জোরাল শটে দলকে এগিয়ে নেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার বার্নাডো সিলভা। ৩৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা, স্তব্ধ হয়ে যায় সফরকারীরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে