আজকের যায়যায়দিন

গত ৪১ ম্যাচে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন মাত্র একটি ম্যাচে হেরেছিল। সেটি ছিল আবার ঘরের মাঠে। তাই তো ভাবা হচ্ছিল, লিওনেল মেসি আসার পর এটাই হচ্ছে ইন্টার মায়ামির জন্য কঠিন পরীক্ষা। কিন্তু ফ্লোরিডা ক্লাব আবারো আলো-ঝলমলে পারফরম্যান্স উপহার দিল। মেসি করলেন টানা ষষ্ঠ ম্যাচে গোল। বলতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে মেসির দুর্দান্ত ফর্ম ছুটছেই। এবার করলেন প্রায় ৩০ মিটার দূর থেকে চোখ ধাঁধানো এক গোল।

আর্জেন্টাইন ক্ষুদে জাদুকরের দারুণ পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে লিগস কাপের ফাইনালে উঠে গেল ইন্টার মায়ামি। বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে লিগস কাপের সেমিফাইনালে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নকে তাদেরই মাঠ সুবারু পার্কে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। মেসি যোগ দেওয়ার পরই বদলে যাওয়া দলটি প্রথমবার বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার স্বাদ পেল। প্রথমার্ধেই তিন গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। দলের হয়ে একটি করে গোল দিয়েছেন জোসেফ মার্টিনেজ, জর্দি আলবা, ডেভিড রুইজ ও মেসি। স্বাগতিকদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন আলেহান্দ্রো বেদয়া।

গত লিগস কাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে গিয়েছিল ফিলাডেলফিয়া। কাগজ-কলমের শক্তিতে মায়ামির সামনে এখনো পর্যন্ত আসরের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিল তারাই। কিন্তু সেই দলও পাত্তা পেল না মেসিকে পেয়ে উজ্জীবিত মায়ামির কাছে। ৬ ম্যাচে মেসির গোল হলো ৯টি। অভিষেকে শেষ সময়ে দুর্দান্ত ফ্রি কিকে গোল করার পর টানা তিন ম্যাচে দুটি করে গোল করেন তিনি। এরপর কোয়ার্টার-ফাইনাল ও সেমিতেও করলেন গোল।

ফিলাডেলফিয়ার

নারী আম্পায়ার নয়, দুই ক্লাবের আপত্তি অভিজ্ঞতায়

মাঠে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই মায়ামিকে এগিয়ে দেন ইয়োসেফ মার্টিনেজ।

ভেনেজুয়েলার এই ফরোয়ার্ডের আসরে গোল হলো তিনটি। ২০ মিনিটে মেসির সেই গোল। তার আচমকা শটে কিছু করতে পারেননি চারপাশে থাকা প্রতিপক্ষের ফুটবলাররা, গোলকিপার পারেননি বাঁ দিকে ফুল লেংথ ডাইভ দিয়েও বলের নাগাল পেতে। ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ দিকে জর্দি আলবা গোল করে অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন মায়ামির জয়।

পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান মেসির সাবেক এই বার্সেলোনা সতীর্থ। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ফিলাডেলফিয়া একটি গোল শোধ করে বটে। তবে ম্যাচের শেষ দিকে গোল করে আবার ব্যবধান বাড়ান ইন্টার মায়ামির একাডেমি থেকে উঠে আসা ১৯ বছর বয়সি মিডফিল্ডার ডেভিড রুইজ। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর ক্লাবগুলোকে নিয়ে আয়োজিত হয় এই লিগস কাপ। এবারের আসরে খেলছে ৪৭ দলের সবক'টি। লিগস কাপের ফাইনালে উঠতে পারায় পরের মৌসুমের কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে খেলা নিশ্চিত হলো ইন্টার মায়ামির। আর মহাদেশীয় এই আসরে প্রথমবার খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ক্লাবটি।