শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জমে উঠেছে নতুন নোটের বাজার

যাযাদি রিপোর্ট
  ১১ মে ২০২১, ০০:০০

ঈদের এক অনন্য অনুষঙ্গ সালামি। আর সালামিতে নতুন নোটের জুড়ি নেই। ছোট-বড় সবারই পছন্দ নতুন টাকার নোট। পাশাপাশি বখশিশ, ফিতরা বা দান-খয়রাতেও অনেকে নতুন নোট বিতরণ করে থাকেন। তাই এখনো অনেকেই ঈদ উপলক্ষে নতুন নোট সংগ্রহ করছেন।

রমজানের প্রায় শেষ আর ব্যাংক বন্ধ থাকায় নতুন নোটের জন্য অনেকেই যাচ্ছেন রাজধানীর গুলিস্তান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসংলগ্ন এলাকায়। ওই এলাকায় নতুন টাকার অস্থায়ী বাজার বেশ জমে উঠেছে। গত কয়েকদিনের চেয়ে সোমবার (১০ মে) বেচাকেনা বেশি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। বেড়েছে দামও। প্রতি বান্ডিলে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের।

গুলিস্তান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ভ্রাম্যমাণ টাকা বিক্রেতারা ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০ ও ২০০ টাকার নতুন নোট বিক্রি করছেন। প্রতি বান্ডিল টাকা কিনতে হলে ক্রেতাকে অতিরিক্ত ১২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি গুনতে হচ্ছে। ৫ টাকার একটি বান্ডিলের জন্য ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, ১০ টাকার এক বান্ডিলে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, ২০ টাকার এক বান্ডিলে ১৮০ টাকা, ৫০ টাকার এক বান্ডিলে ২০০ টাকা, ১০০ টাকার এক বান্ডিলে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং ২০০ টাকার এক বান্ডিলের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বছরব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি থাকায় কোনো বিক্রি হয়নি তাই শেষ সময়ে একটু বেশি রাখা হচ্ছে। এতে সবাই ভালোভাবে ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারবে।

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বছরের অন্য সময়ে এক বান্ডিল নতুন টাকা ৫০ থেকে ৮০ টাকার মতো বেশিতে পাওয়া গেলেও এখন তা কিনতে ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকার নতুন নোট বিক্রেতা আমেনা খাতুন বলেন, 'বছরের পুরো সময়ে করোনাভাইরাসের কারণে কোনো বিক্রি ছিল না। সংসার চলেনি, ভালোমতো খেতে পারিনি। এখন আপনারা ঈদ করতে গ্রামে যাচ্ছেন আমাদেরও কিছু দেন। এতে সবাই আনন্দে থাকি।'

গুলিস্তানে নতুন টাকা কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, 'এবার বেশি দাম রাখছেন বিক্রেতারা। অন্য সময়ে যে টাকা ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যেত, সেটা এখন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা রাখা হচ্ছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে