সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভিলেজ ডিজিটাল বুথের মাধ্যমে ব্যাংকসেবা যাবে দেশের ৯০ হাজার গ্রামে

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংক ও আর্থিক সেবার আওতায় নিয়ে আসতে দেশের প্রায় ৯০ হাজার গ্রামে চালু হতে যাচ্ছে 'ভিলেজ ডিজিটাল বুথ'।

এই বুথের মাধ্যমে গ্রামের লোকজন সহজে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। সেইসঙ্গে মিলবে টাকা জমা দেওয়া ও তোলা, শেয়ারবাজারের পেমেন্টসহ ব্যাংক লেনদেনের অনেক সুবিধা। পাশাপাশি রেমিট্যান্সের টাকা তোলা, কার্ডের লেনদেন, বিভিন্ন পরিষেবার বিল পরিশোধ ও বিকাশ-রকেটের মতো মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) টাকা জমা-তোলাসহ থাকবে নানা সুবিধা। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিল, টেলিমেডিসিন ও ই-টিকেটিং করা যাবে। ভবিষ্যতে গ্রামগুলোতে ঋণ দেওয়ার মতো পরিকল্পনাও রয়েছে এই বুথ থেকে।

পাইলট প্রকল্প হিসেবে খুব শিগগিরই মুন্সীগঞ্জের ৫০টি গ্রামে বুথ চালু করা হবে। আগামী ৩ বছ?রে দে?শের সব গ্রামে ডিজিটাল বুথ স্থাপন করার প?রিকল্পনা রয়েছে।

ভিলেজ ডিজিটাল বুথ প্রতিষ্ঠায় এটুআইয়ের পেমেন্ট এগ্রিগেটর পস্ন্যাটফর্ম 'একপে' এবং জয়তুন বিজনেস সলিউশনস একসঙ্গে কাজ করবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ডক্টর দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং জয়তুন বিজনেস সলিউশনসের চেয়ারম্যান মো. আরফান আলী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এক সমঝোতা স্মারক সই করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় দেশব্যাপী প্রান্তিক এলাকায় বসবাসকারী সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক সেবা দিতে প্রতিটি গ্রামে একটি করে বুথ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এক্ষেত্রে এটুআইয়ের পেমেন্ট এগ্রিগেটর পস্ন্যাটফর্ম 'একপে' এই কার্যক্রমে কারিগরি এবং সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে। মূলত এটি একটি গ্রামীণ আর্থিক সেবা কেন্দ্র হয়ে গড়ে উঠবে, এই বুথ থেকে ডিজিটাল আর্থিক সেবাসহ বিভিন্ন প্রকার ই-সেবা প্রদান নিশ্চিত করা হবে। এতে গ্রামীণ অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আর্থিকসেবা বহির্ভূত জনগোষ্ঠী তাদের আর্থিক সেবা গ্রহণে অনেক বেশি সময়, কষ্ট ও অর্থের সাশ্রয় করতে পারবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে