সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএসইতে আড়াই হাজার কোটি টাকার লেনদেন

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৮৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭৯১ কোটি ৪ লাখ টাকা বা ৪৪ দশমিক ১০ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৪৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩৫৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
যাযাদি রিপোর্ট
  ১২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ৫ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৮৪ কোটি ৯৭ টাকা, যার মোট লেনদেনের ৩৮ দশমিক ৩০ শতাংশই ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। ওই ১০টি কোম্পানির শেয়ারেই লেনদেন ৯৮৯ কোটি ৯৭ টাকা। শেয়াবাজারে মূলধন পরিমাণ বেড়েছে ২ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা। সব ধরনের সূচক উত্থান। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিগত সপ্তাহে মোট চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। পবিত্র শবেবরাতের ছুটির কারণে একদিন লেনদেন বন্ধ ছিল। সেই হিসাবে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯১ কোটি ৫৯ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৪৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সূত্র মতে, গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৮৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭৯১ কোটি ৪ লাখ টাকা বা ৪৪ দশমিক ১০ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৪৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩৫৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৩৫টির, দর কমেছে ২৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২২৫টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ১৭টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইএক্স ৪৬ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৬০ দশমিক ১৮ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ১০ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ্‌ সূচক ডিএসইএস ৫ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ২২৬ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৬২ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে।

এদিকে গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৪০ পয়েন্টে। যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ১৪ দশমিক ৩২ পয়েন্টে। গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৪০ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।

গেল সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৮০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। এছাড়া বি ক্যাটাগরির ২০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর টপটেন লেনদেনে রয়েছে। সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ৩৮ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। এ কোম্পানির মোট ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ, সি পার্ল বিচ ৪ দশমিক ৪৬, ইস্টার্ন হাউজিং ৪ দশমিক ২৮, এডিএন টেলিকম ৪ দশমিক শূন্য ৮, শাইনপুকুর ৩ দশমিক ২১, জেমিনি সি ফুড ২ দশমিক ৯৪, রূপালী লাইফ ইন্সু্যরেন্স ২ দশমিক ৯৩, বসুন্ধরা পেপার ২ দশমিক ৮৪ এবং আমরা নেটওয়ার্কসের ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বিগত সপ্তাহে লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ারের দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। সপ্তাহের শুরুতে লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের উদ্বোধনী দর ছিল ৪০ টাকা ৮০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৪৯ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের সপ্তাহের চেয়েও কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ টাকা ১০ পয়সা বা ২২.৩০ শতাংশ। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এডিএন টেলিকমের ১৮.০৯ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ১৬.৫৪, সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ১৬.৩২, সিটি জেনারেলের ১৫.৬৪, বিডি কমের ১২.৬৬, ইনটেকের ১২.৫৬, সেন্ট্রাল ইন্সু্যরেন্সের ১১.৯৪, ডমিনেজ স্টিলের ১০.৪৯ এবং বসুন্ধরা পেপারের ১০.৩৮ শতাংশ দর বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের শেয়ার। সপ্তাহের শুরুতে ইউনিয়ন ক্যাপিটালের উদ্বোধনী দর ছিল ৯ টাকা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৭ টাকা ৫০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর কমেছে ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ১৬.৬৭ শতাংশ। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি সাপ্তাহিক দর পতনের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মুন্নু অ্যাগ্রোর ৬.০১ শতাংশ, আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ডের ৫.৮০ শতাংশ, এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের ৫.১৯ শতাংশ, এআইবিএল মুদারাব পারপেচুয়াল বন্ডের ৩.৯২ শতাংশ, এম্বি ফার্মার ৩.৯১ শতাংশ, ফাস ফাইন্যান্সের ৩.৫৭ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৩.২৮ শতাংশ, বিকন ফার্মার ২.৭২ শতাংশ এবং রিলায়েন্স ইন্সু্যরেন্সের ২.৫২ শতাংশ দর কমেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে