রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বেড়েছে এলসি খোলার হার, কমেছে নিষ্পত্তি

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

আমদানির জন্য এলসি নিষ্পত্তিও প্রান্তিক হিসাবে আগস্টে ৩৫ শতাংশের বেশি কমেছে। গত বছরের আগস্টে ৭.৬৯ বিলিয়ন ডলার এলসি পেমেন্ট করা হয়, এ বছরের একই মাসে তা ৫.৩৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

আগস্টে এলসি খোলার পরিমাণ জুলাই থেকে প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, এ মাসে এলসি খোলা হয়েছে ৫.৫৯ বিলিয়ন ডলারের। যদিও প্রান্তিক হিসাবে এলসি খোলার পরিমাণ এখনও ১৫ শতাংশ কম। অন্যদিকে মাসিক ও প্রান্তিক উভয় হিসাবেই আগস্টে কমেছে এলসি নিষ্পত্তি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, জুলাইতে এলসি খোলা হয় ৪.৯৬ বিলিয়ন ডলারের।

প্রান্তিক হিসাবে এলসি খোলার কারণ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, তারা ৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি পরিমাণের আমদানি এলসি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এই কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের ফলে ওভার-ইনভয়েসিং কমেছে, ফলে কমেছে এলসি খোলাও।

একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, 'আমরা আগের তুলনায় মূলধনী যন্ত্রপাতির জন্য এলসি খোলার পরিমাণ উলেস্নখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছি। আমরা এ বিষয়ে বেশ সতর্ক এবং শুধু প্রয়োজন হলেই এলসি খুলি।' এর একটি কারণ হিসেবে তিনি এলসি খোলার সময় পেমেন্টের শিডিউল নির্ধারণের নিয়মকে দায়ী করেন। 'আমাদের ডলার ফ্লো অতটা বেশি নয়। সামগ্রিকভাবেই এলসি খোলার পরিমাণ কমছে,' বলেন তিনি।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বিলাসবহুল দ্রব্যের জন্য এলসি খোলার হার কমানোর বিষয় উলেস্নখ করেছেন।

এদিকে আমদানির জন্য এলসি নিষ্পত্তিও প্রান্তিক হিসাবে আগস্টে ৩৫ শতাংশের বেশি কমেছে। গত বছরের আগস্টে ৭.৬৯ বিলিয়ন ডলার এলসি পেমেন্ট করা হয়, এ বছরের একই মাসে তা ৫.৩৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। জুলাইতে এলসি পেমেন্টের পরিমাণ ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান ব্যাখ্যা বলেন, এলসি খোলার পরিমাণ কমলে স্বাভাবিকভাবেই নিষ্পত্তি কম হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে