শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

​ নেত্রকোনায় দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে সুমেশ্বরী নদীর তীর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ

স্টাফ রিপোর্টার,নেত্রকোনা
  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৪৯

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ৮ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে দুর্গাপুর উপজেলার সুমেশ্বরী নদীর ভাঙ্গন কবলিত ১ হাজার ৬৫০ মিটার নদীর তীর রক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর বর্ষায় পাহাড়ী ঢলের প্রবল স্রোতের কারণে দুর্গাপুরের সুমেশ্বরী নদীর দু’তীরে নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় বহেড়াতলী, কুল্লাগড়া, ভূলিপাড়া, ডাকুমারা, বেলতলী, শিবগঞ্জ, ফাড়ংপাড়া, বড়ইকান্দিসহ নদী তীরবর্তী অনেক এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় নদী ভাঙ্গন এলাকার লোকজন তাদের জমি জায়গা ও বসতবাড়ী রক্ষার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে বার বার আবেদন জানিয়ে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড নেত্রকোনা নদী ভাঙ্গন এলাকার জনগনকে রক্ষা এবং নদী ভাঙ্গন রোধ কল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নদী ভাঙ্গন রোধকল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৮ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৬টি প্যাকেজের আওতায় জিও ব্যাগ ফেলে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে ১ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা বহেড়াতলী থেকে কুল্লাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস পর্যন্ত ৩০০ মিটার, ১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা ব্যায়ে দুর্গাপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের আইডিয়াল স্কুলের পার্শ্ববর্তী ৩০০ মিটার, ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে দুর্গাপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ডাকুমারা বেলতলী হতে শিবগঞ্জ বাজার পর্যন্ত ২৫০ মিটার, ১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে কুল্লাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে ভূলিপাড়া পর্যন্ত ৩০০ মিটার, ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সীমান্ত পিলার থেকে ফাড়ংপাড়া পর্যন্ত ২৫০ মিটার, ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে কুল্লাগড়া থেকে বড়ইকান্দি মিশন স্কুল পর্যন্ত ৩০০ মিটার নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

বড়ইকান্দি এলাকার ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর বাসিন্দা মিন্টু রিছিল জানান, নদী ভাঙ্গনের কারণে বেশ কয়েক বার বসত বাড়ি সড়িয়ে নিয়েছি। সরকার নদী ভাঙ্গন রোধকল্পে জিও ব্যাগ ফেলে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন। আমরা সরকারের কাছে স্থায়ীভাবে নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর বাসিন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তুসিরামা সাংমা জানান, নদীর তীর রক্ষা বাঁধ যাতে টেকসই হয়, সে জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদেরকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত জানান, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ পেলে সুমেশ্বরী নদীর দুই তীরে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর উভয় তীরের ভাঙ্গন এলাকা একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। জিও ব্যাগের বাঁধও স্থায়ী বাঁধের চেয়ে কম নয়। বাঁধ নির্মাণ কাজের আগ্রগতি নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা মোতাবেক জেলার সকল নদীর ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে