শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

​খুলনার ব্যাবসায়ীরা হতাশ : আবারো বিধিনিষেধের আওতায় সাধারণ জনগণ

খুলনা অফিস
  ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:২৯

দেশে আবারও করোনার পাশাপাশি আফ্রিকান ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন আঘাত হানার কারণে ও করোনার আক্রান্তের হার হুহু করে বেড়ে যাওয়াতে গতকাল বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় পরামর্শ কমিটি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন বিশেষ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে দেশের বৈশ্বিক অদৃশ্য মহামারি করোনাভাইরাসের সঙ্গে নতুন আফ্রিকান ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন আঘাত হানার কারণে হঠাৎ করে আবার দেশের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সরকারসহ সকল স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা মহা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে।

মাঠে থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মোবাইল কোর্ট মাধ্যমে দেওয়া হবে সাজা। সেই ক্ষেত্রে দেশের সাধারণ মানুষদের কঠিন স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে সরকার ঘোষিত বিশেষ ১১টি বিধিনিষেধের আওতায় এনে বর্তমান মহামারির ঊর্ধ্বমুখী করোনার মৃত্যুর করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে সকল দিক বিবেচনা করে গত দুই বছরে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুকতার মধ্যে নিমজ্জিত ও সকল ব্যবসার চরম ক্ষতি সাধনের কথা মাথায় রেখে দেশজুড়ে লকডাউনের পরিবর্তে সকল সেক্টরের ব্যবসাবাণিজ্য সচল রেখে ১১টি সাধারণ বিধিনিষেধ জারি করে ইতোমধ্যে সরকার।

এতে করে স্বস্তির নিশ্বাস দেশের সকল ব্যবসায়ী মহলসহ সাধারণ জনগণের ও খুলনা আকতার চেম্বার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মো. শমসের আলী মিন্ট যায়যায়দিনকে বলেন, আমাদের ব্যবসাবাণিজ্য খুব খারাপ। অপর দিকে খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারঘোষিত ১১টি স্বাস্থ্য সচেতন বিধিনিষেধ আমরা যদি সাধারণ মানুষেরা সঠিকভাবে মেনে চলতে পারলেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে একে একে ১১টি বিধিনিষেধের বিবরণ মাধ্যমে অবগত করেন।

বিশেষ বিধিনিষেধগুলোর মধ্যে রয়েছে, ১) দোকান, শপিংমল ও বাজারের ক্রেতা বিক্রেতা এবং হোটেল রেস্তোরাঁসহ সকল জনসমাগম স্থলে বাধ্যতামূলক সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে, (২) অফিস আদালতসহ ঘরের বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের ব্যবস্থায় রোধে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে, (৩) রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনা টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে, (৪) বারো বছরের বেশি সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না, (৫) স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

কোর্টে আগত বহিরাগতদের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতে আগত ট্রাকের সঙ্গে শুধু ড্রাইভার থাকতে পারবে কোনো সহকারী আসতে পারবে না। বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে, (৬) ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সর্বপ্রকার যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে, (৭) বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে, (৮) স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরার বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খোতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন।

জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন, (৯) সর্বসাধারণের করোনার টিকা এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার এবং উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে তারা তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহায়তা গ্রহণ করবে, (১০) উন্মুক্ত স্থানে সর্বসামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে, (১১) কোনো এলাকার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ বিধিনিষেধের মাধ্যমে সচেতন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে