বান্দরবানের থানচি উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এদিকে শহীদ মিনারের সীমানা প্রাচীরের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে ফাটল ধরে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
জানা যায় ১৯৮০ সালে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্বরণে তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে থানচি উপজেলা পরিষদ চত্বরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার টি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ অযত্ন, অবহেলায় শহীদ মিনার টি ময়লার আর্বজনার স্তূপে পরিনত হয়। পরে ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত হলে সেই সময়ের দূর্গম থানচি উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার টি কে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে কোনোভাবে ব্যবহার উপযোগী করা হলেও সংস্কার করা হয়নি।
২০১০ সাল পরবর্তী সময়ে অবকাঠামো খাতে থানচি তে ব্যাপক পরিমাণ উন্নয়ন সাধিত হয়। যার ধারাবাহিকতা এখনো চলমান।এত উন্নয়নের পর ও উপজেলা প্রশাসনের চোখের সামনে অবস্থিত জরাজীর্ণ হয়ে পড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রতি কারো সু দৃষ্টি নেই বলে জানান স্হানীয়রা।
এলাকার স্হানীয় বাসিন্দারা জানান,বিভিন্ন জাতীয় দিবস এলে শহীদ মিনারে রংয়ের প্রলেপ দেওয়া হয়,পরিস্কার করা হয় আশপাশ। তারা আরো বলেন বর্তমানে শহীদ মিনারটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে মিনারের দেয়াল ভেঙে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।এসময় তারা পুরাতন শহীদ মিনার টি ভেঙে নতুন শহীদ মিনার নির্মাণের জোর দাবী জানান।
এই বিষয়ে থানচি উপজেলার একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা আক্কেল আলীর বড় ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান জানান,যাদের আত্মা ত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেলাম,তাদের কে শ্রদ্ধা জানানোর বেলায় আমাদের মধ্যে এত ক্যার্পণ্যতা কেনো'। তিনি উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পূণর্নিমাণে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এই বিষয়ে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রাহুল চন্দ্র বলেন,বিষয় টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে শহীদ মিনারের বিষয়ে সদ্য বিদায়ী ইউএনও আতাউল গনি ওসমানী আমার সাথে আলোচনা করেছিলেন। আশা করি খুব দ্রুতই শহীদ মিনার নির্মাণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
যাযাদি/এস
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd