শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

​​​​​​​ছুরিকাঘাতে কে.কে.গভ.ইন্সটিটিউটের স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
  ১৯ মে ২০২২, ২০:৫৮

মুন্সীগঞ্জ কে.কে.গভ.ইন্সটিটিউটের সামনে গলায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত স্কুল ছাত্র অঙ্কন দত্ত (১৭) মারা গেছেন। নিহত স্কুল ছাত্র ১ মাস ১৩ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ভোর ৪ টা'র দিকে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

নিহত স্কুল শিক্ষার্থী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের রনছ পাড়ুলপাড়া এলাকার নির্মল দত্তের ছেলে। সে কে. কে. গভ. ইন্সটিটিউটের চলতি বছরের বিজ্ঞান শাখার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

নিহতের স্বজনরা জানান, গত (৭ এপ্রিল) বিকেলে প্রাইভেট শেষে মুন্সীগঞ্জ শহরের ডিসি পার্কে ঘুরতে যায় অঙ্কন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার জন্য একটি অটোরিকশায় ওঠে। এরপরে পেছন থেকে কে বা কারা যেনো রুমালে ছিটানো চেতনানাশক দিয়ে তাকে অজ্ঞান করে। পরবর্তীতে সেখান থেকে তার বিদ্যালয় কে. কে. গভ. ইন্সটিটিউটের প্রসাব খানার পশ্চিম পাশে কাতার প্রবাসী আদনানের ক্রয়কৃত পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে যায়। অজ্ঞান অবস্থায় তার গলায়সহ বিভিন্ন স্হানে ছুরিকাঘাত করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।

নিহতের চাচা রূপক দত্ত বলেন - প্রথমে উদ্ধার করে সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাই। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিল। ঈদের আগে ঢাকায় ব্যবসায়ীদের সাথে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হয়। তখন অঙ্কন একটু সুস্থ ছিল। আমরা তাকে সেখান থেকে বাসায় নিয়ে আসি। পরে, কয়েকদিন আগে তার অবস্থা আবারও খারাপ হয়। আমরা তাকে রাজধানীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাই।

নিহতের বাবা নির্মল দত্ত বলেন, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই। আমার ছেলেটা ভালো স্টুডেন্ট ছিল। এ নিয়ে ওর ক্লাসের কয়েকটা ছেলে হিংসে করতো। এই ঘটনার সাথে অঙ্ককনের সহপাঠিরা (মুন্সীগঞ্জ শহরের একাধিক কিশোর গ্যাঁংরা) জড়িত। দেড় মাস যাবৎ ছেলেটা অসুস্থ ছিল। ওর গলার খাদ্য নালি কেটে গিয়ে ছিল। ভেতরে ইনফেকশন ছিল। আসামিরা যে বয়সেরই হোক। তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুস সাত্তার মুন্সী বলেন - দেড় মাস আগে একটি ছেলেকে কে.কে.গভ. ইন্সটিটিউটের পশ্চিম পাসে কাতার প্রবাসী আদনানের বাড়ির সামনে একাধিকভাবে গলায় ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। প্রশাসন কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারল না। কাউকে শনাক্ত করতে পারলো না। ছেলেটি অসুস্থ হয়ে মারা গেল। অতি দ্রুত যদি আসামিদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয় এটাই আমাদের সকলের দাবি।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে যে দিন ছুড়িকাহত করা হয় তখন অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করে হত্যা চেষ্টা মামলা করা হয়। আজকে ছেলেটি মারা গেছে। সে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে