সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

নবাবগঞ্জে নতুন মাটির রাস্তা পেয়ে খুশি গঙ্গাদিয়াবাসী

নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
  ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৫৭

ঢাকার নবাবগঞ্জের শিকারীপাড়া ইউনিয়নের ইছামতি নদীর পাড়ে অবস্থিত গঙ্গাদিয়া গ্রাম। গ্রামটির অর্ধশতাধিক পরিবারে প্রায় দুই শতাধিক লোকের বসবাস। তবে গ্রামটিতে প্রবেশের কোনো রাস্তা না থাকায় স্থানীয়দের ইছামতি নদীর পাড় ও মানুষের বাড়ির উপর দিয়ে গ্রামে প্রবেশ করতে হতো। বিগত বছরগুলোতে কোনো জনপ্রতিনিধিরাও রাস্তাটি করার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ ছিল এলাকাবাসীর।

অবশেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে গ্রামবাসী পেয়েছে তাদের স্বপ্নের রাস্তা। নতুন রাস্তা পেয়ে খুশি এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, রাস্তা না থাকায় গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে নানা সমস্যায় পড়তে হতো তাদের। এমনকি কেউ মারা গেলেও লাশ বের করার মতোও রাস্তা ছিল না। ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে যেতে পড়তে হতো নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে। বর্ষা মৌসূমে চলাচলের দুর্ভোগ বেড়ে যেত দ্বিগুন।

সামান্য বৃষ্টি হলেই শিক্ষার্থী ও পথচারীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হতো। কিন্ত উন্নয়নে বদলে গেছে গ্রামের বর্তমান চিত্র। দীর্ঘদিন পরে প্রত্যাশিত রাস্তাটি হওয়ায় তারা সহজইে চলাচল করতে পারছেন। নতুন রাস্তা পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলীমোর রহমান খান পিয়ারার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসী।

গঙ্গাদিয়া গ্রামের নূরজাহান বেগম বলেন, ‘স্বাধীনতার পর নতুন রাস্তা পেলাম। চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় এলাকাবাসী মিলে রাস্তাটি তৈরি করেছেন। এ জন্য তারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।’

স্কুল শিক্ষার্থী সায়মা আক্তার বলেন, ‘এতদিন রাস্তা না থাকায় অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে চলাচল করতাম। অনেক সময় কটু কথাও শুনতে হতো। এবার রাস্তা নির্মাণ হয়েছে এখন সহজেই আমরা স্কুলে যেতে পারবো। কারো কটু কথা আর শুনতে হবে না।’

গৃহবধূ মমতাজ বেগম বলেন,‘ এক সময় চলাচলের কোন রাস্তাই ছিল না। এখন রাস্তা নির্মাণ হয়েছে সব গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এতে আমরা খুশি।’

স্থানীয়রা জানান, ‘দীর্ঘদিন পর হলেও নতুন রাস্তা পেয়ে তারা খুশি। ঢাকা-১ আসনের এমপি সালমান এফ রহমান ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে তারা কৃতজ্ঞতা জানান।’

এ ব্যাপারে শিকারীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীমোর রহমান খান পিয়ারা, ‘একসময় গঙ্গাদিয়া গ্রামে প্রবেশের কোনো রাস্তা ছিল না। জনসাধারণের চলাচলের জন্য একটি মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে রাস্তাটি মাটি ভরাটসহ ইট দ্বারা স¤প্রসারণের ব্যবস্থা করা হবে।’

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে