মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

হোসনপুরে ঈদ ও বাংলা নববর্ষকে ঘিরে সুঁই সুতার নারী কারিগরদের ব্যস্ততা

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৭

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উপলক্ষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সুঁই সুতার সুদক্ষ নারী কারিগররা । কেননা ঈদ ও বৈশাখ উপলক্ষে দোকানপাট, শপিং মল, বিপনী বিতানে সুঁই সুতার বাহারী নকশার শাড়ি কাপড়ের কদর বহুগুণে বেড়ে যায়। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখকে ঘিরে তারা আকর্ষনীয় ও মনোমুগ্ধকর ডিজাইনের পুঁথি ও সুতা দিয়ে বিভিন্ন রঙের শাড়িতে নকশার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিশেষ করে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র নারী ও শিশু কর্মীরা একরকম নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়ে,রাত দিন এক করে কিছুটা বাড়তি উপার্জনের আশায় আনন্দ নিয়ে শাড়িতে বিরামহীন নকশা তৈরি করছেন। সরেজমিনে উপজেলার কুড়িমারা ,শাহেদল, রহিমপুর, আশুতিয়া,দ্বীপেশ্বর পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখাযায়, এ পেশায় যুক্ত প্রতিটি বাড়িতেই এখন শাড়িতে পুঁথি ও সুতা দিয়ে বিভিন্ন নকশার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন দক্ষ নারী ও শিশু কর্মীরা।

এ সময় উপজেলার খ্যাতিমান ও সুপরিচিত নারী উদ্যোক্তা এবং সুঁই সুতার কারিগর রহিমা খাতুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে শাড়িতে নকশার কাজ করেই তিনিসহ অনেকই আজ ছেলে মেয়ের পড়ালেখার খরচ ও সংসারের সার্বিক ব্যয় স্বাচ্ছন্দে মিটিয়ে চলছেন। তাই অন্যান্য বারের মতোই এবারো ঈদ ও বাংলা নববর্ষের আগে তাদের ব্যস্ততা অনেকগুণ বেড়ে গেছে।

শাহেদল গ্রামের নকশা কর্মী মোছা. সালমা খাতুন জানান, পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে আগে অনেক কষ্ট করে সংসার চালাতে হতো। কিন্তু শাড়িতে নকশার কাজ শেখার ফলে এখন তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন।

উপজেলার কুড়িমারা গ্রামের নকশা কর্মী মোছা. শেফালী বেগমসহ অনেকেই বলেন, আমাদের মতো সুঁই সুতার কারিগররা সরকারি প্রণোদনা পেলে এ খাতে আরো বেশি দরিদ্র নারী কারিগররা সুঁই সুতার নকশার কাজে অংশ নিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন। এ জন্য তিনি জরুরি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতারও দাবি জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলার রামপুরের শাড়ি ব্যবসায়ী মো. হিরন মিয়াসহ অনেকেই জানান, এবারের ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে দেশব্যাপী অভিজাত শপিংমল, দোকানপাট ও বিপণিবিতান গুলোতে সুঁই সুতার নকশীকরা বাহারী রঙের শাড়ির কদর বেড়েছে বহুগুণ। তাই তারা ঈদ ও বাংলা নববর্ষের সময় শাড়ি উৎপাদন কাজে মফস্বল এলাকায় একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা বিনিয়োগ করে এসব নারী কারিগরদের বাড়িতে এসে অর্ডার দিয়ে থাকেন।

এ ব্যাপারে হোসেনপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. রোওশনারা রুনু জানান, সুঁই সুতার এসব দক্ষ নারী কারিগরদের উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতার পাশাপাশি স্বাবলম্বী করতে আন্তরিক ভাবে কাজ করেছেন তিনি।ফলে অনেক সুঁই সুতার নারী কারিগরই আজ আর্থিকভাবে সচ্ছলতা পেয়ে অনেক সুখী ।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে