সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

পূর্বধলায় রাজধলা বিলপাড়ে দর্শনার্থীদের ঢল

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৭

নেত্রকোণার পূর্বধলায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ও বৈশাখী মেলাকে কেন্দ্র করে ঐতিহ্যবাহী রাজধলা বিলপাড়ে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। ঈদ উল ফিতরের দিন বিকাল থেকে এখানে দর্শনার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়। ঈদের পরে চৈত্র সংক্রান্তি মেলা, বৈশাখী মেলা, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থী সমাগম বৃদ্ধি পেতে থাকে।

ঈদ ও বৈশাখী আমেজ কেটে গেলেও গতকাল সোমবারও অনেক দর্শক সমাগম দেখা গেছে বিলপাড়ে। বিলে বিনোদনের পরিবেশ নেই, নেই পর্যাপ্ত বসার সু-ব্যবস্থা, শিশুদের জন্য নেই কোন বিনোদনের উপকরণ, এরপরও একটু প্রশান্তির আশায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে বিলপাড়ে। ছোট বড় নানা শ্রেণি পেশার দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত ছিল রাজধলা বিল পাড়। এ যেন একজন আর একজনের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার উপযুক্ত স্থান।

ঈদ কে কেন্দ্র করে যারা নিজ কর্মস্থল থেকে বাড়ীতে এসেছেন পরিবার পরিজনদের সাথে ঈদ উপভোগ করতে তাদের বেশির ভাগেরই একটি অংশ এখানে ছুটে এসেছেন পুরোনোদিনের স্মৃতি বিজরিত এই রাজধলা বিল পাড়ে। শুধু আশে পাশের লোকজন নয় একটু প্রশান্তির আশায় অনেক দুর-দুরান্ত থেকেও ছুটে এসেছেন অনেকে। ছোট শিশু, ছেলে-মেয়ে পরিবার পরিজনদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন পরিবারের প্রধানরা। কিন্তু অপার সম্ভাবনাময় এই রাজধলা বিলের পাশে একটি রাস্তা ও একটি ঘাটলার ছাড়া আর কিছুই না থাকায় অনেকেই হতাশ হয়েছেন।

তবে এবছর বিলের ঘাটে রাজধলা বিলের মাঝখানে গিয়ে বিল পরিদর্শনের জন্য স্থানীয় এক উদ্যোক্তা যোগ করেছেন স্পিডবোট, তাছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে, প্যাডেল চালিত নৌকা ও একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা রয়েছে। যে গুলির মাধ্যমে আগত দর্শনাথীরা বিলের মাঝখানে গিয়ে বিলের সৌন্দর্য অবলোকন করতে পেরেছে।

আগত দর্শনার্থী মো. আরিফ খান, শিরিন আক্তার জানায়, আমরা ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ীতে এসেছি ঈদ করতে। ঈদে বাড়তি বিনোদনের আশায় বিলপাড়ে ছুটে এসেছি। এখানে এসে অনেকের সাথে দেখা হচ্ছে, আড্ডা দিচ্ছি খুব ভালো লাগছে। তারা এখানে একটা মিনি পার্ক করার দাবী জানান।

বাবার সাথে ঘুরতে আসা ক্ষুদে দর্শনার্থী শাহরিয়ার, রোবাইয়া, রাইসা জানায়, এখানে আমাদের ছোটদের বিনোদনের জন্য কিছুই নেই। দোলনা, নাগরদোলাসহ মিনি পার্ক করা হলে আমরা সেগুলিতে চড়তে পারতাম এবং আনন্দ পেতাম। তাই তারা এখানে মিনি পার্ক করার দাবী জানান।

অপর দর্শনার্থী আজিজুল হক খোকন অভিযোগ করে বলেন, এখানে স্পিডবোটের ভাড়া জনপ্রতি অতিরিক্ত করে আদায় করা হয়েছে। তাই তিনি ভাড়া কমিয়ে নেওয়ার দাবী জানান। আবার স্পিড মালিক জানান, সুনামগঞ্জের তারিহপুর থেকে এখানে একটি স্পিডবোট নিয়ে এসেছি। আসা-যাওয়া খরচ, জ্বালানী খরচ বেশি হওয়ায় টাকা একটু বেশি নিতে হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: খবিরুল আহসান জানান, ঈদ ও বেশাখী মেলাকে কেন্দ্র করে রাজধলা বিলপাড়ের দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। এখানে আগত দর্শনার্থীদের জন্য সুন্দর বসার ব্যবস্থাকরতে এবং বৃক্ষ রোপণ করতে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা অতি দ্রুত শুরু হয়ে যাবে। আর সুন্দর প্লেসে প্রয়োজনীয় জায়গা না পাওয়ায় এখানে মিনি পার্ক করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে পরিকল্পনা রয়েছে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে