সারাদেশ

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, জনগণের আন্দোলনের তোপের মুখে সৈরাচার শেখ হাসিনা সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। দেশ ছেড়ে কারা পালিয়ে যায়, কোন ভাল লোক কখনো পালিয়ে যায় না। পালায় কারা বিরু কাপুরুষ, চোর পাটপাররা পালিয়ে যায়। তারা দেশের মানুষের সাথে এতোটাই নির্যাতন চালিয়েছিল যার কারনে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। বিগত সময়ে দেখে আসছি, নির্বাচনে একদল হারে আরেক দল জিতে, কিন্তু কখনো কোনদিন দেখি নাই দলের প্রধান ও তার চেলা চামান্ডা সহ আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে পালিয়ে যায়। এমনকি আওয়ামী লীগের অপকর্মের সহযোগী পুলিশ, সাংবাদিক, সচিব সহ অনেকেই পালিয়েছে। তারা এতোটাই অপকর্ম করেছে তা অনুভব করেই তা বুঁজেই পালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকালে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার পঞ্চবটিতে এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর নি:লজ্জা বেহায়ের মত এখনো দেশের বাহিরে বসে দেশে ফিরে আসার কথা বলছে। তারা কিভাবে এমন চিন্তা করে। আরে তোমাদের তো আমরা পালাতে বাধ্য করি নাই। তোমরা যখন ক্ষমতায় ছিলে আমাদের উপর অন্যায় ভাবে নির্যাতন চালিয়েছো। গ্রেপ্তার করেছো, রিমান্ডে নিয়েছো, বাড়িতে থাকতে দেও নাই। এখন তোমাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। এখন তো তোমাদের প্রতিপক্ষ লোক ক্ষমতায় নাই, তাহলে তোমাদের কিসের এতো ভয়। এখন তো অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায়। তাহলে কেন তোমরা পালিয়ে গেলে। তোমরা বুজতে পারছো তোমরা দেশের মানুষের সাথে কতটা অপরাধ করেছো এবং কতটুকু চুরি বাটপারি করছো। যার কারনে বংশের লোক নিয়ে পালিয়ে গেছো।

গিয়াস উদ্দিন আরো বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ রয়েছে, সদস্য ফরম নবায়ন ও নতুন সদস্য বিতরণ করার জন্য। সারা দেশে লক্ষ লক্ষ ছাত্র জনতা যারা আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করেছে এবং ভোটার হওয়ার সময় হয়েছে তারা শতস্ফুত ভাবে বিএনপির সদস্য হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছে। বিএনপি একটি বৃহত্তর একটি দল। এই দলে খারাপ লোকের কোন স্থান হবে না। আমরা ভাল লোক দেখে সাদা করবো।

অনুষ্ঠানে এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন শাহাদুল্লাহর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান সুমনের পরিচালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, বিশেষ বক্তা ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাদরিল, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকহাসান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন স্বাধীন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল হোসেন রতন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ, ফতুল্লা থানা কৃষকদলের সাবেক আহবায়ক আমির হোসেন বেপারী সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।