শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দূতাবাসকে 'গুপ্তচরবৃত্তি'তে ব্যবহার করেছিল অ্যাসাঞ্জ :ইকুয়েডর প্রেসিডেন্ট

ব্রেক্সিট থেকে নজর ঘোরাতেই ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে থেরেসার নেতৃত্বাধীন সরকার : অ্যাসাঞ্জের মা ক্রিশ্চিয়ান
যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

বিশ্বজুড়ে সাড়া জাগানো বিকল্পধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বারবার তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের শর্ত ভেঙেছেন এবং লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসকে গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লেনিন মোনেরোর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, গার্ডিয়ান

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট মোরেনোর ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন, এমন অভিযোগ তোলার পর রাজনৈতিক আশ্রয়দাতা দেশটির সঙ্গে অ্যাসাঞ্জের সম্পর্ক ভেঙে পড়ে। তার পরিবারিক নথিপত্র ফাঁস হওয়ার প্রতিশোধ নিতেই অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করা হয়েছে, এমন ধারণা অস্বীকার করেছেন মোরেনো।

অন্য দেশের গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ করতে অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডর দূতাবাস ব্যবহার করায় তিনি দুঃখিত বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা একটি সার্বভৌম দেশ ও প্রত্যেক দেশের রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই অস্তিতিশীলতার যে কোনো উদ্যোগ ইকুয়েডরের জন্য মর্যাদাহানিকর। আমাদের দূতাবাসের দরজা গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র হওয়ার জন্য খুলে দিতে পারি না।' প্রেসিডেন্ট লেনিন আরও বলেন, 'জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আশ্রয় বাতিল করার সিদ্ধান্তের পেছনে অন্য কোনো দেশের ইন্ধন নেই। সাবেক সরকার অন্য রাষ্ট্রের কার্যক্রমে 'হস্তক্ষেপ' করার উদ্দেশে তাদের দূতাবাসের ভেতরে সহায়তা প্রদান করত।'

সাত বছরের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে নেয়ার পর গত বৃহস্পতিবার ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে অ্যাসাঞ্জকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় লন্ডন পুলিশ। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ ২০১০ সালে পেন্টাগন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাখ লাখ সামরিক ও কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে ন্যায়বিচারের অভাবই জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের উদ্বেগের কারণ বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী জেনিফার রবিনসন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ টেলিভিশনের সঙ্গে আলাপকালে এ নিয়ে কথা বলেন জেনিফার। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবিচারের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়ে বরাবরই তার মক্কেলের উদ্বেগ রয়েছে। তবে যুক্তরাজ্য বা সুইডেনে বিচারের মুখোমুখি হতে তার কোনো উদ্বেগ নেই।

আইনজীবী জেনিফার রবিনসন বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে ব্রিটিশ বা সুইডিশ বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের কখনও কোনো উদ্বেগ নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<45519 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1