শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

থেরেসার জন্য খারাপ লাগছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের

নতুনধারা
  ২৬ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক

ব্রেক্সিট ইসু্যতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে'র পদত্যাগের সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। থেরেসাকে একজন ভালো মানুষ অভিহিত করে সরকারপ্রধানের পদ থেকে তার সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানিসহ অনেক দেশের শীর্ষ নেতারা। এদিকে কে হবেন দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী, তা নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স

থেরেসা মে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে অপারগ হয়ে শেষে শুক্রবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। আগামী ৭ জুন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি। তার পদ ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় ব্রিটিশ নাগরিকদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

ব্রিটিশ প্রদানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণায় সমবেদনা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তিনি বলেন, থেরেসা তার পুরো শাসনামলে ব্রিটিশ নাগরিকদের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে গেছেন। ট্রাম্প বলেন, 'থেরেসার জন্য খারাপ লাগছে। তিনি একজন ভালো মানুষ, পরিশ্রমী এবং সাহসী। তার সিদ্ধান্ত সবাইকে অবাক করেছে। শেষ পর্যন্ত নিজের দেশের ভালোর কথা ভেবে গেছেন তিনি এবং একই ভাবনা থেকে পদত্যাগও করলেন।'

থেরেসার পদত্যাগের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্সসহ আরও কয়েক দেশের নেতারা। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'পুরো শাসনামলেই অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। বাধ্য হয়েই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন থেরেসা। তবে এবার ব্রেক্সিট বিষয়ে ইতিবাচক কিছু হবে বলেই আশা রাখছি।'

ফ্রান্সের নেত্রী ল পেন বলেন, 'ব্রিটিশরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে চায়। তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করতেই হবে। থেরেসা মে তার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন, নিজ দেশের নাগরিকের ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যেই তা করেছেন। ব্রিটিশরা ব্রেক্সিট চায়, সে সুযোগ তাদের দিতেই হবে।'

থেরেসা মের পদত্যাগের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সঙ্গে এখন পর্যন্ত সমঝোতার বিষয়ে সম্মত হতে পারেনি। দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই সমর্থন অর্জন করতে হবে, ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে হবে। যদিও বিষয়টি এখন আরও অনেক বেশি কঠিন হবে।

আর ব্রিটিশরা বলছেন, 'ব্রেক্সিট নিয়ে তিনি একাই যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি তো যেতে চাননি, ব্রেক্সিটও তিনি চাননি। আমরাই চেয়েছি। তিনি তা সফল করার চেষ্টা করেছেন, পারেননি। তবে তার লড়াইকে শ্রদ্ধা করতেই হয়। তিনি কি কোনো দিন ব্যবসা করেছেন? তিনি ব্যবসার কী বোঝেন? চুক্তিতে কীভাবে সব পক্ষকে রাজি করাতে হয়, এটা তিনি জানবেন কী করে? ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন তার কাজ নয়, এটা বুঝতে পেরেই তিনি পদ ছেড়েছেন।'

এদিকে, থেরেসা মে'র পদত্যাগের পর এবার দেশটির রাজনীতি কোন দিকে মোড় নেবে, তা দেখার অপেক্ষায় মুখিয়ে আছেন সবাই। ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া নিয়ে তাড়াহুড়া থাকায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নতুন নেতা নির্বাচনের কাজ শুরু করতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এরই মধ্যে উঠে এসেছে বেশ কয়েকটি নাম। এর মধ্যে রয়েছেন জেরেমি হান্ট, ডোমেনিকান রব, মাইকেল গভ ও আন্দ্রে লিডসমের মতো নেতারা। এছাড়া এই তালিকায় রয়েছেন দেশটির বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদও। থেরেসার পদত্যাগের পর তিনি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। তিনি নির্বাচিত হলে প্রথমবারের মতো কোনো মুসলমান প্রধানমন্ত্রী পাবে যুক্তরাজ্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<51116 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1