প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য প্রাথমিক বিজ্ঞান থেকে অধ্যায়ভিত্তিক কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নোত্তর
অধ্যায় ১০
প্রশ্ন : একজন শিক্ষাথীর্ হিসেবে তুমি কিভাবে শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পার। ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : শিক্ষাথীর্ হিসেবে আমি নিম্নলিখিতভাবে শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারিÑ
ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের লাইব্রেরির বইপুস্তক, জানার্ল ও ম্যাগাজিনের সন্ধান পাওয়া যায় এবং সেগুলো পড়তে পারি। ক্লাসে না গিয়েও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারি। ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় উত্তরটি জানতে পারি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারি। শিক্ষাবিষয়ক যে কোনো তথ্য ও উপাত্ত ইন্টারনেটে সংরক্ষণ করে রাখতে পারি।
প্রশ্ন : ইন্টারনেট কী কী কাজে লাগে?
উত্তর : ইন্টারনেটের সাহায্যে তথ্য যোগাযোগের নানারকম কাজ করা যায়। যেমনÑ
১. তথ্যের আদান-প্রদান করা যায়।
২. তথ্য খেঁাজা, তথ্য সংগ্রহ করা বা তথ্য পাঠানো যায়।
৩. বাস, ট্রেন বা প্লেনের টিকিট বুকিং দেয়া যায়।
৪. কেনাকাটা করা যায়, কোনো জিনিসের অডার্র দেয়া যায়।
৫. বিভিন্ন দেশের লাইব্রেরির লাখ লাখ বইপুস্তক, জানার্ল ও ম্যাগাজিনের সন্ধান পাওয়া এবং পড়া যায়।
৬. বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় অজির্ত অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়।
প্রশ্ন : আমাদের জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব কী?
উত্তর : আমাদের জীবনের সব ক্ষেত্রেই তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব অপরিসীম। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা কিভাবে দৈনন্দিন জীবন পরিচালনা করি তার কয়েকটি উদাহরণ নিচে দেয়া হলোÑ
১. আবহাওয়া বিভাগের তথ্য থেকে আমরা জানতে পারি বৃষ্টি বা ঝড় হবে কিনা, শীত কী রকম পড়বে। এ তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ছাতা নিয়ে বাইরে বের হই। শীতের কাপড় কিনি।
২. স্কুলের শিক্ষক ও নোটিস বোডের্র তথ্য থেকে জানতে পারি পরীক্ষা বা অন্য কোনো বিষয়ের সময়সূচি। সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করি।
৩. সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশনের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের অনেক তথ্য পেয়ে থাকি। এসব তথ্য আমাদের জ্ঞানভাÐারকে বৃদ্ধি করে।
৪. কৃষিবিষয়ক তথ্যের ভিত্তিতে কৃষক তাদের চাষাবাদ কাজ ঠিক করে নেয়।
কারো জ্বর হলে থারমোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রার তথ্য জেনে নিই। এ তথ্য জেনে ডাক্তার ওষুধ দেন।
৫. কখন পোলিও টিকা খাওয়ানো হবে সে তথ্য জেনে বাচ্চাদের টিকা খাওয়াতে নিয়ে যাই।
এভাবে আমাদের জীবনের প্রতিটি কাজই আমরা তথ্যের সাহায্য নিয়ে করে থাকি। তাই আমাদের জীবনযাত্রা তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতা ছাড়া অচল হয়ে পড়বে।