প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা প্রথমপত্র থেকে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেয়া হলো
সৃশনশীল প্রশ্নোত্তর
পঞ্চম অধ্যায়
১.
২০১০ ‘রংধনু করপোরেশন লি.’-এর আথির্ক পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় ‘আলম করপোরেশন লি.’ প্রতিষ্ঠানটির ৫৮% শেয়ার ক্রয় করে এর মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ২০১৪ সালে ‘রংধনু করপোরেশন লি.’-এর দেনাদার ‘সালমা ফামার্’ ১৫ কোটি টাকা পরিশোধে অস্বীকৃতি জানায়। টাকা আদায় করার জন্য ‘আলম করপোরেশন লি.’ আদালতে ‘সালমা ফামার্ লি.’-এর নামে মামলা করার মাধ্যমে অথর্ আদায় করে।
প্রশ্ন : ক. সরকারি কোম্পানি কাকে বলে?
প্রশ্ন : খ. কোম্পানির সসীম দায় ব্যাখ্যা করো।
প্রশ্ন : গ. উদ্দীপকে ‘রংধনু করপোরেশন লি.’ কোন ধরনের কোম্পানি? ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন : ঘ. আদালতে মামলা করার মাধ্যমে ‘আলম করপোরেশন লি.’-এর কোন দিকটি ফুটে উঠেছে তা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : ক.
যে সীমিত দায়সম্পন্ন কোম্পানির সম্পূণর্ বা কমপক্ষে ৫১% শেয়ারের মালিকানা সরকারের হাতে থাকে তাকে সরকারি কোম্পানি বলে।
উত্তর : খ.
যৌথ মূলধনী কোম্পানির ক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডারদের দায় তাদের ক্রয়কৃত শেয়ারের মূল্য দ্বারা সীমাবদ্ধ। এ সীমাবদ্ধতাকেই যৌথ মূলধনী কোম্পানির সসীম দায় বলে গণ্য করা হয়। এ ক্ষেত্রে সদস্যদের দায় সীমাবদ্ধ থাকে বলে কোম্পানির কাজের জন্য যেমন শেয়ারহোল্ডারদের দায়ী করা যায় না তেমনি শেয়ারহোল্ডারদের কাজের জন্যও কোম্পানিকে দায়ী করা যায় না। এর ফলে শেয়ারহোল্ডাররা অনেকটা নিশ্চিন্তে এর শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে।
উত্তর : গ.
কোনো কোম্পানির ৫০% ভাগের বেশি শেয়ার অন্য কোনো অধীনে থাকলে তাকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বলে।
উদ্দীপকে ‘রংধনু করপোরেশন লি.’ সাবসিডিয়ারি কোম্পানি। ২০১১ সালে ‘রংধনু করপোরেশন লি.’-এর আথির্ক পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় ‘আলম করপোরেশন লি.’ প্রতিষ্ঠানটির ৫৮% শেয়ার ক্রয় করে এর মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ফলে ‘রংধনু করপোরেশন লি.’-এর পরিচালনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য ‘আলম করপোরেশন লি.’ গুরুত্বপূণর্ প্রভাব রাখে। যেহেতু ‘আলম করপোরেশন লি.’ ৫৮% শেয়ার ক্রয় করার মাধ্যমে ‘রংধনু করপোরেশন লি.’ পরিচালনা নিয়ন্ত্রণ করে সেহেতু ‘রংধনু করপোরেশন লি.’ একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি।
উত্তর : ঘ.
কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার জন্য একটি কোম্পানি ব্যক্তির মতো অধিকার ও ক্ষমতা লাভ করে।
উদ্দীপকে আদালতে মামলা করার মাধ্যমে ‘আলম করপোরেশন লি.’-এর কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার দিকটি ফুটে উঠেছে। ২০১১ ‘রংধনু করপোরেশন লি.’-এর আথির্ক পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় ‘আলম করপোরেশন লি.’ প্রতিষ্ঠানটির ৫৮% শেয়ার ক্রয় করে এর মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। ফলে ‘আলম করপোরেশন লি.’ হোল্ডিং কোম্পানি হিসেবে ‘রংধনু করপোরেশন লি.’-কে সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মতো পরিচালনা করে। ‘রংধনু করপোরেশন লি.’-এর দেনাদার ‘সালমা ফামার্’ ১৫ কোটি টাকা পরিশোধে অস্বীকৃতি জানায়। টাকা আদায় করার জন্য ‘আলম করপোরেশন লি.’ ‘সালমা ফামার্’-এর নামে মামলা করার মাধ্যমে টাকা আদায় করতে সমথর্ হয় কারণ আইনগতভাবে ‘আলম করপোরেশন লি.’ কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি ‘সালমা ফামার্’র বিরুদ্ধে একজন ব্যক্তির মতো মামলা দায়ের করে। এখানে আদালতে মামলা করার মাধ্যমে ‘সালমা ফামার্ লি.’-এর কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার বৈশিষ্ট্য ফুঠে উঠেছে।