আজকের যায়যায়দিন

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুনীির্ত মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেয়া ৭ বছরের কারাদÐাদেশের রায়ের সাটির্ফায়েড কপি আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করেছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন রায়ের ৬৩২ পৃষ্ঠার সাটির্ফায়েট কপি খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নুল আবেদীন মেজবাহের কাছে হস্তান্তর করেন।

খালেদার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ মামলায় খালেদার জামিন ও রায়ের বিরুদ্ধে আমরা শিগগিরই উচ্চ আদালতে আবেদন করব।’

এর আগে ৩০ অক্টোবর খালেদার রায়ের সাটির্ফায়েড কপির জন্য আবেদন করেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী / সংলাপে বিরোধ নিষ্পত্তি করুন, যুদ্ধকে 'না' বলুন

২৯ অক্টোবর এ মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদÐাদেশ দেন নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত।

রায়ে ৭ বছরের কারাদÐ ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদÐাদেশ দেন আদালত। মামলার অপর তিন আসামিকেও একই শাস্তির আদেশ দেন আদালত।

এ ছাড়া কাকরাইলে সুরাইয়া খাতুনের নামে ট্রাস্টের জন্য কেনা ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেয়ারও আদেশ দেন আদালত।

রায়ের পযের্বক্ষণে বিচারক বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সবোর্চ্চ ক্ষমতায় আসীন থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে টাকা আত্মসাৎ করা কাম্য নয়। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের অপরাধ না করতে পারে সেজন্য তাকে কঠিন শাস্তি প্রদান করা প্রয়োজন।’

রায়ে মোট ১৪টি বিষয় বিবেচনায় নেন বিচারক। বিচারক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অপর আসামিদের সহযোগিতায় ট্রাস্টের নামে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রæয়ারি দুনীির্তর আরেক মামলায় কারাদÐ হওয়ার পর তাকে কারাগারে নেয়া হয়।