আজকের যায়যায়দিন

দীঘর্ বিরতির পর নিবার্চনী মাঠে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হয়ে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে তারা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের পাশাপাশি বিএনপি এবার মাঠে থাকায় জমে উঠছে ভোটযুদ্ধ। প্রতীক পাওয়ার রাত থেকেই প্রাথীর্রা ঝঁাপিয়ে পড়েছেন মাঠে। এক রাতেই রাজধানী ছেয়ে গেছে প্রাথীের্দর পোস্টারে। তবে নগরীর কয়েকটি নিবার্চনী এলাকা ঘুরে ঐক্যফ্রন্টের প্রাথীর্র পোস্টার চোখে পড়েনি। পোস্টার টাঙানোয় এগিয়ে মহাজোটের প্রাথীর্রা। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, মগবাজার এলাকায় মহাজেটের প্রাথীর্ রাশেদ খান মেননের পোস্টার চোখে পড়ে সবর্ত্রই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নয়ন সমতাভিত্তিক বৈষম্যহীন, দুনীির্তমুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রতিশ্রæতি দিয়ে নৌকা মাকার্য় ভোট চাচ্ছেন তিনি। মেননের প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মিজার্ আব্বাস। তবে আব্বাসের পোস্টার চোখে পড়েনি ওই এলাকায়। অন্যদিকে ঢাকা-১০ আসনে পোস্টের ছেয়ে ফেলেছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ধানমÐি, হাজারীবাগ, কলাবাগান ও নিউমাকের্ট এলাকায় সাদা কালো পোস্টারে ছেয়ে গেছে। তিনি গত ১০ বছরে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। ঢাকা-১০ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রাথীর্ আবদুল মান্নানের ধানের শীষের পোস্টার চোখে পড়েনি। ৫০ নম্বর ওয়াডর্ পুকুরপাড়ের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, এবার ভোট ভালো হবে। আওয়ামী লীগ বিএনপি মাঠে আছে। গেল বার ভোট ছিল না, মজাও ছিল না। এবার মাঠে নৌকা-ধানের শীষে লড়াই ভালো হবে। অন্যদিকে জমে উঠেছে ঢাকা-১৭ (গুলশান, বনানী, ভাসানটেক, ক্যান্টনমেন্ট) আসনের লড়াই। মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, জাতীয় পাটির্র চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (লাঙল প্রতীকে), তৃণমূল বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির সাবেকমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, বাংলাদেশ জাতীয় পাটির্র (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পাথর্। তবে পোস্টার টাঙানোয় এগিয়ে এরশাদ। কিছু কিছু স্থানে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত প্রাথীর্ চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের পোস্টার দেখা গেছে। পোস্টারের দিক থেকে এরশাদ এগিয়ে থাকলেও নৌকা, লাঙল ও ধানের শীষের ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে আশা করছেন ভোটাররা। বতর্মান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রাথীর্ এসএম আবুল কালাম আজাদের কোনো খবর নেই। গত সংসদ নিবার্চনে এই আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পাটির্র কোনো প্রাথীর্ না থাকায় ফঁাকা মাঠে গোল দেন আবুল কালাম আজাদ। টেলিভিশন প্রতীকে ৪৩ হাজার ৫৮৫ ভোট পেয়ে তিনি এমপি নিবাির্চত হয়েছিলেন। এসএম আবুল কালাম আজাদের নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রাথীর্ এমএ হান্নান মৃধা ফুটবল প্রতীকে পেয়েছিলেন চার হাজার ৪৬ ভোট। ঢাকা-৭ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রাথীর্ হাজী মো. সেলিম। জমজমাট প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পুরান ঢাকার লালবাগ, চকবাজার, আহসান মঞ্জিল এলাকায় সবর্ত্রই উড়ছে নৌকার পোস্টার। অনেক স্থানে নিবার্চনী ক্যাম্পও তৈরি করা হয়েছে। সেলিমের প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী ধানের শীষ প্রতীকে নিবার্চন করছেন গণফোরামের মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তবে মন্টুর কোনো পোস্টার চোখে পড়েনি। ঢাকা-৬ আসনে ধানের শীষে লড়ছেন গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী। ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, কোতোয়ালি এলাকায় পোস্টার চোখে পড়েনি। তবে ঢাকা-৬ আসনে সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পাটির্র কাজী ফিরোজ রশীদের নৌকার পোস্টার দেখা গেছে নিবার্চনী এলাকাজুড়ে। একই চিত্র ঢাকাজুড়ে। সবখানেই আওয়ামী লীগ-মহাজোট প্রাথীের্দর পোস্টার-ব্যানার টাঙানো। ঢাকা-১২ আসনে নৌকার প্রাথীর্ বতর্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জমজমাট প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কয়েকটি স্থানে তিনি নিবার্চনী ক্যাম্পও তৈরি করেছেন। তবে মাঠে নেই ধানের শীষের প্রাথীর্ সাইফুল আলম। প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে থাকা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা যেমন জনগণের কাছে এগিয়ে, দেশের মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে তেমনি ঢাকাসহ সারাদেশে প্রচারণাও এগিয়ে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা-১৩ আসনের বিএনপি প্রাথীর্ আবদুস সালাম বলেন, কিছুটা দেরি হয়েছে নানা কারণে। তবে পোস্টারের কাজ শুরু করে দিয়েছি। দু’একদিনের মধ্যে ঢাকা শহর ছেয়ে যাবে বলে আশা করছি।