কুড়িগ্রামের রাজারহাটে গত ১ সপ্তাহে প্রায় ৩ শতাধিক গরু-ছাগল খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ২২টি গরু ও ৮টি ছাগল মারা গেছে। এ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাকসিনের প্রকোপ সংকট দেখা দেয়ায় খামারিসহ গবাদি পশু পালনকারীরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন।
সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এ রোগের প্রাদুভার্ব দেখা দিয়েছে। এ রোগটির সংক্ষিপ্ত নাম এফএমডি (ফুড অ্যান্ড মাউথ ডিজিস)। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগ হলে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, জিহŸা, দঁাতের মাড়ি, মুখগহŸর, পায়ের খুরার মধ্যভাগে ঘা বা ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ক্ষত সৃষ্টি হলে মুখ থেকে লালা ঝরে, সাদা ফেনা বের হয়। গরুর বাছুর এ রোগে আক্রান্ত হলে বঁাচানো যায় না।
উপজেলা ভ্যাটেরিনারি সাজর্ন ডা. পবিত্র কুমার জানান, যে বাড়িতে গরু আক্রান্ত হয়, তার আশেপাশের বাড়ির সকল গবাদি পশুকে রিং করে ভ্যাকসিন দিতে হয়। এছাড়া প্রতি ৪ মাস পরপর একবার করে ভ্যাকসিন দিতে হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কমর্কতার্ ডা. জোবাইদুল কবির জানান, খুরা রোগ সংক্রামক ব্যাধি এবং ছেঁায়াচে। বাইরে থেকে গরু কিনে নিয়ে আসায় এবং আবহাওয়ার কারণে এ উপজেলায় খুরা রোগ দেখা দিয়েছে।